ভারত নিজের সবচেয়ে দরিদ্রতম এবং সর্বাপেক্ষা দুর্বল নাগরিকের চাহিদা মেটাতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ০৪ মে, বুধবার, দুর্যোগ প্রতিরোধী অবকাঠামো সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন (আইসিডিআরআই – ২০২২) -এর ৪র্থ সংস্করণের উদ্বোধনী সভায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য প্রদানকালে এই অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি।
শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মোদী বলেন, “যে কোনও অবকাঠামো উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে আমাদের জনসাধারণকে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার গৌরবময় প্রতিশ্রুতি হল ‘কাউকে পিছিয়ে না রাখা’। তাই, আমরা তাদের আকাঙ্খা উপলব্ধি পূর্বক পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অবকাঠামো তৈরি করে সবচেয়ে দরিদ্র এবং সবচেয়ে দুর্বলদের চাহিদা মেটাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ রয়েছি।”
এসময়, শক্তিশালী অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি এবং দক্ষতার মিশ্রণ ঘটানোর পরামর্শ দেন মোদী। তিনি বলেন, “এমনভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে, যা আদতে কেবল বর্তমান প্রজন্মকে নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মকেও বিপর্যয় এড়াতে সহায়তা করবে। মানুষকে অবশ্যই যেকোনো পরিকাঠামো বৃদ্ধির গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে। এবং, ভারতে আমরা ঠিক এটাই করছি।”
এছাড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানীয় জল, স্যানিটেশন, শক্তি এবং পরিবহনের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবাগুলোকে উন্নত করার জন্য ভারতের প্রচেষ্টার বিষয়ে কথা বলেন মোদী। একই সঙ্গে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি।
মোদী বলেন, “আমরা জলবায়ু পরিবর্তনকেও খুব সরাসরি মোকাবেলা করছি। সেজন্য, কোপ-২৬ এ আমরা আমাদের উন্নয়নমূলক প্রচেষ্টার সমান্তরালে ২০৭০ সালের মধ্যে ‘নেট জিরো’ অর্জনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের ভবিষ্যৎকে আরও সুরক্ষিত করার জন্য আমাদের অবশ্যই একটি ‘স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো পরিবর্তনের’ দিকে কাজ করতে হবে। স্থিতিস্থাপক অবকাঠামো “আমাদের বিস্তৃত অভিযোজন প্রচেষ্টার কেন্দ্রবিন্দু হিসাবেও কাজ করতে পারে।”
অধিবেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, ঘানার প্রেসিডেন্ট নানা আদ্দো ডানকোয়া আকুফো-আডো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রি নিরিনা রাজোয়েলিনা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক