আসন্ন জি-২০ সভাপতিত্বের জন্য একটি লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতা আহবান করেছে ভারত। ০৭ মে, শনিবার, এক টুইটবার্তায় ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “ভারতের আসন্ন জি-২০ প্রেসিডেন্সির জন্য একটি লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতার সূচনা করতে পেরে আনন্দিত৷ ভারত কতোটা সুন্দর ও ব্যাপকভাবে জি-২০ তে অবদান রাখতে পারে, সে সম্পর্কে আপনাদের মতামত ব্যক্ত করুন এই লোগোর মাধ্যমে। আমরা ০৭ জুন, ২০২২ পর্যন্ত এন্ট্রির জন্য উন্মুক্ত আছি।”
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই যে এই লোগো ডিজাইন প্রতিযোগিতা আহবান করতে বলেছেন, সে বিষয়েও জানান বাগচী। তাঁর এই পোস্টের পর পৃথক আরেকটি টুইটবার্তায় মোদী লিখেছেন, “এটি একটি বিশেষ প্রতিযোগিতা, যা আমাদের তরুণদের সৃজনশীলতা উদযাপন করে। এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিন।”
পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, জি-২০ তে প্রেসিডেন্সির সময় ভারত কিছু এজেন্ডা নির্ধারণ করবে। এতে জলবায়ু এবং পরিবেশ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, স্বাস্থ্য, কৃষি, ডিজিটাল অর্থনীতি, শক্তি, কর্মসংস্থান, শিক্ষা, পর্যটন এবং সংস্কৃতি সহ বিরোধী বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর পরিসরে আলোচনা এবং ফলাফলসমূহকে রূপ দেওয়ার সুযোগ পাবে নয়াদিল্লী৷
লোগো ডিজাইন করার জন্য মানদণ্ড:
ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তরের মতে লোগোটি প্রতিফলিত হওয়ার ক্ষেত্রে যেনো আপাদমস্তক ভারতীয় বৈশিষ্ট্য ফোঁটে উঠে। কিছু প্রক্রিয়া এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যথা:
১) ভারতের এক বা একাধিক জি-২০ বিষয়ভিত্তিক অগ্রাধিকার যেমন সকলের জন্য টেকসই উন্নয়ন, একটি মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, ন্যায়সঙ্গত এবং স্থিতিস্থাপক বৃদ্ধি, পরিবেশের জন্য একটি জীবনধারা, একটি পরিবার হিসাবে বিশ্ব এবং বহুপাক্ষিক অংশীদারিত্ব
২) আগামী ২৫ বছরে ভারতের রূপ চিত্র যেনো প্রতিফলিত হয়।
৩) লোগো ডিজাইনে জাতীয় ত্রিকোণে রঙের সংমিশ্রণ/ব্যবস্থার শৈল্পিক অভিব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত করা উচিত;
৪) জি-২০ গ্রুপের বৈশিষ্ট্য লোগোতে প্রধানভাবে প্রতিফলিত হওয়া উচিত। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক