মহামারীতে গোটা বিশ্বের জনজীবনই বিপন্ন হয়েছে। এখনও অবধি উন্মুক্ত সমাজের স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষা করে চলেছে প্রাণঘাতী করোনা! এমতাবস্থায়, মহামারীর মোকাবেলায় জনভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার, দ্বিতীয় গ্লোবাল কোভিড ভার্চুয়াল সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে এমনটিই মন্তব্য করলেন ভারত সরকারের সুপ্রিমো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সামিটে ‘মহামারী প্রতিরোধ এবং প্রস্তুতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া’ -শীর্ষক থিমে বক্তব্য দিবেন ভারত সরকারের সুপ্রিমো। তিনি বলেন, “বিশ্বব্যাপী আরও স্থিতিস্থাপক স্বাস্থ্য সুরক্ষা স্থাপত্য তৈরি করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে অবশ্যই সংস্কার এবং শক্তিশালী করতে হবে।”
এবারের সম্মেলনও আয়োজন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রায় দেড় কোটি মানুষ মারা গিয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মহামারী নিয়ন্ত্রণে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক তহবিলের অভাব সত্ত্বেও কোভিডের তীব্র পর্যায় সমাপ্ত করার জন্য বাইডেন প্রশাসন বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা চালাতে প্রস্তুত।
এরই সূত্র ধরে দ্বিতীয়বারের মতো গ্লোবাল কোভিড ভার্চুয়াল সামিট আয়োজন করেছে দেশটি। এর আগে প্রথমবারের মতো এই সম্মেলন আয়োজন করা হয়েছিল গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর।
ভারতীয় পররাষ্ট্র দপ্তর পূর্বেই জানিয়েছিলো, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী মূল্যের ভ্যাকসিন, ওষুধ, পরীক্ষা ও চিকিত্সার জন্য স্বল্প খরচে দেশীয় প্রযুক্তির বিকাশ, জিনোমিক নজরদারি এবং স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মহামারী মোকাবেলায় চলমান বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টায় ভারত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণেও এসব বিষয় তুলে ধরা হবে।
এদিকে, এবারের শীর্ষ সম্মেলনের সহ আয়োজক CARICOM এর সভাপতি হিসেবে বেলিজের রাষ্ট্রপ্রধান, আফ্রিকান ইউনিয়নের চেয়ার হিসাবে সেনেগাল, জি২০-এর সভাপতি হিসাবে ইন্দোনেশিয়া এবং জি-৭ এর সভাপতি হিসাবে যথাক্রমে জার্মানি। জাতিসংঘের মহাসচিব, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও এতে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক