২০২১-২০২২ আর্থিক বছরে ভারত ৮৩.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সর্বোচ্চ বার্ষিক এফডিআই ফ্লো রেকর্ড করেছে। ২০১৪-২০১৫ সালে, ভারতে এফডিআই ফ্লো ছিল মাত্র ৪৫.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেখানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে রিপোর্ট করা সর্বোচ্চ বার্ষিক এফডিআই ফ্লো ৮৩.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বিশ্ব জুড়ে করোনার থাবা ও ইউক্রেনে সামরিক অভিযান সত্ত্বেও গত বছরের এফডিআই ১.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারকে ছাড়িয়ে গেছে। ভারতের এফডিআই ফ্লো ২০০৩-০৪ অর্থবর্ষ থেকে ২০ গুণ বেড়েছে, এই অর্থবর্ষে এফডিআই ফ্লো ছিল মাত্র ৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
ভারতীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের রিপোর্ট জানাচ্ছে, ভারত দ্রুত উৎপাদন খাতে বিদেশী বিনিয়োগের জন্য অন্যতম পছন্দের দেশ হিসেবে উঠে আসছে। উৎপাদন খাতে এফডিআই ইক্যুইটি ফ্লো আগের অর্থবছর ২০২০-২০২১ (১২.০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) এর তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে (২১.৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ৭৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। উল্লেখ্য যে কোভিড-পরবর্তী সময়ে (মার্চ, ২০২০ থেকে মার্চ ২০২২: ১৭১.৮৪ বিলিয়ন) এফডিআই ইনফ্লো রিপোর্ট করা প্রাক-কোভিড (ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ থেকে ফেব্রুয়ারি, ২০২০: ১৪১.১০ বিলিয়ন) এর তুলনায় ২৩% বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থবর্ষ ২০২১-২২ সালের রিপোর্ট বলছে এফডিআই ইক্যুইটি ফ্লোতে শীর্ষ বিনিয়োগকারী দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে সিঙ্গাপুর (২৭%), তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৮%) এবং মরিশাস (১৬%)। এফডিআই ইক্যুইটি ফ্লোর শীর্ষ বিনিয়োগ সেক্টর হিসেবে সবার ওপরে রয়েছে কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ও হার্ডওয়্যার (২৫%)। ২০২১-২২ অর্থবছরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পরিষেবা সেক্টর (১২%) এবং অটোমোবাইল শিল্প (১২%)।
‘কম্পিউটার সফ্টওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার’ সেক্টরের অধীনে, এফডিআই ইক্যুইটি ফ্লোর প্রধান বিনিয়োগ পাওয়া রাজ্যগুলো হল কর্ণাটক (৫৩%), দিল্লি (১৭%) এবং মহারাষ্ট্র (১৭%)। অর্থবর্ষ ২০২১-২২ সালে কর্ণাটক হল শীর্ষ প্রাপক রাজ্য যেখানে মোট এফডিআই ইক্যুইটি ইনফ্লোতে ৩৮% শেয়ার রয়েছে, তারপরে মহারাষ্ট্র (২৬%) এবং দিল্লি (১৪%)। ২০২১-২২ অর্থবছরে কর্ণাটকের ইক্যুইটি প্রবাহের বেশিরভাগই `কম্পিউটার সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার’ (৩৫%), অটোমোবাইল শিল্প (২০%) এবং ‘শিক্ষা’ (১২%) খাতে রিপোর্ট করা হয়েছে।
রিপোর্ট বলছে গত আট বছরে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ ফল দিয়েছে, কারণ দেশে ক্রমবর্ধমান এফডিআই ইনফ্লো বেড়েছে বেশ কয়েক শতাংশ। স্থাপন করছে নতুন রেকর্ড। সরকার এফডিআই নীতি পর্যালোচনা করে এবং ভারত যাতে আকর্ষণীয় এবং বিনিয়োগকারীদের বন্ধুত্বপূর্ণ গন্তব্য থাকে তা নিশ্চিত করতে সময়ে সময়ে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন করে। সম্প্রতি কয়লা খনি, চুক্তি উত্পাদন, ডিজিটাল মিডিয়া, একক ব্র্যান্ড খুচরা ব্যবসা, বেসামরিক বিমান চলাচল, প্রতিরক্ষা, বীমা এবং টেলিকমের মতো সেক্টর জুড়ে সংস্কার করা হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক