১০:৩৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দিল্লী-টোকিওর সম্পর্ক নিয়ে জাপানী পত্রিকায় মোদীর লেখনী

‘দি বেস্ট ইজ ইয়েট টু কাম’- জাপানের ‘ইয়োমিউরি শিমবুম’ সংবাদপত্রে এমনই লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মাধ্যমে ভারত সরকারের সুপ্রিমো বলতে চেয়েছেন, ভারত ও জাপানের বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও গভীর হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে সোমবার সেদেশে পৌঁছেছেন মোদী। সেখানে তিনি কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যোগ দেবেন। তার আগে তিনি বলেন, প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম নির্মাণ, মহাকাশ গবেষণা ও সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে আগামী দিনে পরস্পরের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করবে ভারত ও জাপান।

মোদী লিখেছেন, “ভারত ও জাপান যৌথভাবে পণ্য সরবরাহের যে রাস্তা তৈরি করবে, তা কোনও আঘাতেই নষ্ট হবে না। ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্যও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী দিনে ওই অঞ্চলে সকলেই প্রবেশাধিকার পাবে। নিরাপদে বাণিজ্য করতে পারবে। প্রতিটি দেশ অপরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে।”

মোদী জাপানের সংবাদপত্রে আরও লিখেছেন, “আমি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন থেকেই জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছি। জাপান যেভাবে উন্নয়ন করে চলেছে, তা প্রশংসনীয়। পরিকাঠামো, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত ও জাপান যৌথভাবে কাজ করছে।”

উল্লেখ্য, ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীর পুরো নাম ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’। ভারত ছাড়াও এই গোষ্ঠীর সদস্য আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনা আগ্রাসন ঠেকাতেই ওই গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ওই অঞ্চলে সীমানা নিয়ে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিরোধ আছে।

চীনের দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই তাদের জলসীমার অন্তর্গত। এমনকি তাইওয়ানও চীনের অংশ। জলসীমা নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ আছে ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের। পূর্ব চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ আছে জাপানেরও। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

দিল্লী-টোকিওর সম্পর্ক নিয়ে জাপানী পত্রিকায় মোদীর লেখনী

প্রকাশ: ০৮:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

‘দি বেস্ট ইজ ইয়েট টু কাম’- জাপানের ‘ইয়োমিউরি শিমবুম’ সংবাদপত্রে এমনই লিখেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর মাধ্যমে ভারত সরকারের সুপ্রিমো বলতে চেয়েছেন, ভারত ও জাপানের বন্ধুত্ব আগামী দিনে আরও গভীর হবে।

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার আমন্ত্রণে সোমবার সেদেশে পৌঁছেছেন মোদী। সেখানে তিনি কোয়াড গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠকে যোগ দেবেন। তার আগে তিনি বলেন, প্রতিরক্ষার সরঞ্জাম নির্মাণ, মহাকাশ গবেষণা ও সমুদ্র নিয়ে গবেষণার ক্ষেত্রে আগামী দিনে পরস্পরের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা করবে ভারত ও জাপান।

মোদী লিখেছেন, “ভারত ও জাপান যৌথভাবে পণ্য সরবরাহের যে রাস্তা তৈরি করবে, তা কোনও আঘাতেই নষ্ট হবে না। ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্যও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে। আগামী দিনে ওই অঞ্চলে সকলেই প্রবেশাধিকার পাবে। নিরাপদে বাণিজ্য করতে পারবে। প্রতিটি দেশ অপরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান করবে।”

মোদী জাপানের সংবাদপত্রে আরও লিখেছেন, “আমি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম, তখন থেকেই জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছি। জাপান যেভাবে উন্নয়ন করে চলেছে, তা প্রশংসনীয়। পরিকাঠামো, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন এবং আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে ভারত ও জাপান যৌথভাবে কাজ করছে।”

উল্লেখ্য, ‘কোয়াড’ গোষ্ঠীর পুরো নাম ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’। ভারত ছাড়াও এই গোষ্ঠীর সদস্য আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। পর্যবেক্ষকদের মতে, ভারতীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় চীনা আগ্রাসন ঠেকাতেই ওই গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। ওই অঞ্চলে সীমানা নিয়ে চীনের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিরোধ আছে।

চীনের দাবি, দক্ষিণ চীন সাগরের পুরোটাই তাদের জলসীমার অন্তর্গত। এমনকি তাইওয়ানও চীনের অংশ। জলসীমা নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ আছে ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামের। পূর্ব চীন সাগর নিয়ে চীনের সঙ্গে বিরোধ আছে জাপানেরও। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক