আইপিইএফ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে উন্নতি, শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাবে। সোমবার, টোকিওতে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক চালুর প্রেক্ষাপটে এমন মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এর আগে ফোরামটি চালুর ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের আগে এর উদ্বোধনী ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই ফোরামের সূচনা করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এসময় অন্য কোয়াড নেতাদের সাথে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও।

জাপান, ভারত ও আমেরিকাসহ বিশ্বের মোট ১৩টি দেশ এই বাণিজ্যিক জোটের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে। এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, “ভারত আইপিইএফ প্রতিষ্ঠার জন্য সকলের সঙ্গে কাজ করবে। এই ফ্রেমওয়ার্ক অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং পরিবর্তনশীল।”

এসময়, মোদী আরও বলেন, “আমার বিশ্বাস, বিশ্বের সরবরাহ শৃঙ্খলের উন্নতিকল্পে ফোরামটি তিনটি টি এর উপর প্রতিষ্ঠিত হবে। সেগুলো যথাক্রমে, বিশ্বাস (ট্রুথ), স্বচ্ছতা (ট্রান্সপারেন্সি) এবং সময়োপযোগীতা (টাইমলিনেস)। এগুলো বাণিজ্য ফোরামটিকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে।”

ভারত সরকারের সুপ্রিমো বলেন, “ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল সর্বদা উৎপাদন, অর্থনৈতিক কার্যকলাপ, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের কেন্দ্র ছিল। আর ভারত ঐতিহাসিকভাবে এই অঞ্চলে বাণিজ্য প্রবাহের কেন্দ্রে রয়েছে। ভারতের প্রাচীনতম বাণিজ্যিক বন্দরটি গুজরাটের লোথালে অবস্থিত।”

অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আইপিইএফ-র মাধ্যমে তাঁরা একবিংশ শতাব্দীর অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবেন। পাশাপাশি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে মিত্র দেশগুলোর সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বও জোরদার করা হবে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক