নওশীন নাওয়ার রাফা: সাধারণভাবে বিশ্বের ইতিহাসে খ্রিষ্টপূর্ব কয়েক শতক পূর্ব থেকে খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতক পর্যন্ত সময়কে প্রাচীনকাল হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে, বাংলার ইতিহাসে এ সময়কাল প্রায় তেরো শতাব্দীর প্রারম্ভকাল অবধি ব্যপ্ত! ১২০৪ সালে তুর্কী বীর ইখতিয়ারউদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খলজি বাংলার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাংশে সেন শাসনের অবসান ঘটিয়ে মুসলিম শাসনের সূচনা করার মাধ্যমে প্রায় দুই হাজার বছরের বাংলার প্রাচীন যুগের পরিসমাপ্তি ঘটান।
কিন্তু, ভাবতে অবাক লাগে, প্ৰাচীনযুগে বাংলা নামে কোনো অখণ্ড কিংবা সমষ্টিক রাষ্ট্রের অস্তিত্ব ছিলো না। বর্তমান সময়ে আমরা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গকে একযোগে ‘বাংলা’ ভূমি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে থাকি। কিন্তু, অধুনা বাংলার বিভিন্ন অংশ তখন বঙ্গ, পুণ্ড্ৰ, গৌড়, হরিকেল, সমতট, বরেন্দ্ৰ সহ এরকম প্ৰায় ১৬টি জনপদে বিভক্ত ছিলো। প্রতিটি অঞ্চলের শাসক নিজ অধিকারভূক্ত অঞ্চলে স্বীয় সুবিধামতো শাসন ব্যবস্থা প্রণয়ন করতেন। মূলত, প্রাচীন বাংলার এসব জনপদ সম্পর্কে বলতেই আজকের এই লেখনীটি।
এদিকে, বাংলার বিভিন্ন অংশে অবস্থিত প্ৰাচীন জনপদগুলোর সঠিক সীমা ও বিস্তৃতি সঠিকভাবে নির্ণয় করা অসম্ভব। কেননা, শাসকের ক্ষমতা বৃদ্ধি কিংবা খর্ব হওয়া সাপেক্ষে বিভিন্ন সময়ে এসব জনপদের সীমানা হ্ৰাস অথবা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবুও খ্রিস্টাব্দ চার শতক থেকে গুপ্ত, গুপ্ত পরবর্তী যুগ, পাল এবং সেন আমলের শিলালিপি ও সাহিত্য গ্রন্থগুলোতে প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোর নাম পাওয়া যায়। এছাড়া, প্রাচীনকালের যে ঐতিহাসিক উপাদানগুলো পাওয়া যায়, সেগুলো থেকেও প্রাচীন বাংলার জনপদ এবং তাদের অবস্থান সম্পর্কে কিছুটা জানা যায়। আলোচনার এ পর্যায়ে প্রাচীন বাংলার কয়েকটি জনপদের নাম ও অবস্থান সম্পর্কে দেখে নেয়া যাক:
১। পুণ্ড্র: বর্তমান অবস্থান: বৃহত্তর বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার অংশ বিশেষ
২। বরেন্দ্ৰ: বর্তমান অবস্থান: বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী বিভাগের উত্তর পশ্চিমাংশ, রংপুর ও দিনাজপুরের কিছু অংশ
৩। বঙ্গ: বর্তমান অবস্থান: ঢাকা, ফরিদপুর, বিক্রমপুর, বাকলা (বরিশাল)
৪। গৌড়: বর্তমান অবস্থান: মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ
৫। সমতট: বর্তমান অবস্থান: বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল
৬। রাঢ়: বর্তমান অবস্থান: পশ্চিম বাংলার দক্ষিণাঞ্চল বর্ধমান জেলা
৭। হরকূল বা হরিকেল: বর্তমান অবস্থান: চট্টগ্ৰাম, পার্বত্য চট্ৰগ্ৰাম, ত্ৰিপুরা, সিলেট
৮। চন্দ্ৰদ্বীপ: বর্তমান অবস্থান: বরিশাল, বিক্ৰমপু্র, মুন্সীগঞ্জ জেলা ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল
৯। সপ্তগাঁও: বর্তমান অবস্থান: খুলনা এবং সমুদ্ৰ তীরবর্তী অঞ্চল
১০। তাম্ৰলিপ্ত: বর্তমান অবস্থান: মেদিনীপুর জেলা
১১। রূহ্ম (আরাকান): বর্তমান অবস্থান: কক্সবাজার, মায়ানমারের কিছু অংশ, কর্ণফুলি নদীর দক্ষিণা অঞ্চল
১২। সূহ্ম: বর্তমান অবস্থান: গঙ্গা-ভাগীরথীর পশ্চিম তীরের দক্ষিণ ভূ-ভাগ, আধুনিক মতে বর্ধমানের দক্ষিণাংশে, হুগলির বৃহদাংশ, হাওড়া এবং বীরভূম জেলা নিয়ে সূহ্ম দেশের অবস্থান ছিল
১৩। বিক্রমপুর: বর্তমান অবস্থান: মুন্সীগঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চল
১৪। বাকেরগঞ্জ: বর্তমান অবস্থান: বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট
এবার পূর্বোক্ত জনপদসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো:
পুন্ড্র: বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পুন্ড্র জনপদ ছিল প্রাচীন বাংলার জনপদগুলোর মাঝে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জনপদ। এটিই ছিল বাংলার সর্ব প্রাচীন জনপদ। ‘পুন্ড্র’ নামের জাতি এই জনপদ গড়ে তুলেছিল। পুন্ড্রবর্ধন বা পুন্ড্রনগর ছিল প্রাচীন পুন্ড্রের রাজধানী। পরবর্তীকালে এর নাম মহাস্থানগড় হয়।
মৌর্য সম্রাট অশোকের রাজত্বকালে প্রাচীন পুন্ড্র রাজ্য স্বাধীন সত্ত্বা হারায়। পরবর্তীতে সমৃদ্ধি বাড়লে এই পুন্ড্র – পুণ্ড্রবর্ধনে রূপান্তরিত হয়। পুণ্ড্রবর্ধন নামের উৎপত্তি ‘পৌন্দ্রিক’ শব্দ থেকে যার অর্থ আখ বা চিনি। পুন্ড্রবর্ধন তখন রাজমহল ও গঙ্গা-ভাগীরথী থেকে শুরু করে করতোয়া পর্যন্ত মোটামুটি সমস্ত উত্তরবঙ্গ জুড়েই বিস্তৃত ছিল। সেন আমলে এই পুণ্ড্রবর্ধনের দক্ষিণতম সীমা পদ্মা পেড়িয়ে বর্তমান চব্বিশ পরগনার খাড়ি পরগনা ও ঢাকা-বরিশালের সমুদ্র তীর পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনের দিক দিয়ে পুন্ড্রই ছিল প্রাচীন বাংলার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জনপদ।
বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাঙ ৬৩৯ থেকে ৬৪৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে পুণ্ড্রনগরে এসেছিলেন। ভ্রমণের বিবরণীতে তিনি তখনকার প্রকৃতি ও জীবনযাত্রার বর্ণনা করেন। শোনা যায়, তিনি মহাস্থানগড় অর্থাৎ প্রাচীন পুণ্ড্রনগরে প্রবেশ করার সময় সে কালের বিশাল ও প্রাচীন করতোয়া নদী পার হয়েছিলেন একটি বিশাল আকৃতির মাছের পিঠে চড়ে। এ জন্য তার নামের শেষে উল্লেখ করা হয় ‘মাহীসওয়ার’ বা ‘ মাছের পিঠে আরোহণকারী’। তবে অনেকে বলেন, মাহীসওয়ার নদী পার হয়েছিলেন ঠিকই তবে তা মাছের পিঠে চড়ে নয়। বরং মাছের আকৃতিতে তৈরি করা নৌকার পিঠে চড়ে।
পুন্ড্রনগরে একটিমাত্র প্রাচীন মসজিদ পাওয়া গেছে যা মোগল সম্রাট ফাররুক শিয়ারের রাজত্বকালে ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দে নির্মাণ করা। ব্রিটিশ শাসনামলে এই মাজার থেকেই ফকির বিদ্রোহের কর্মসূচি পরিচালিত হতো। প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মাজারটি ঘিরে বিশাল এক মেলার আয়োজন হয়।
বরেন্দ্র: বরেন্দ্র পুণ্ড্রবর্ধন জনপদের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। মৌর্য ও গুপ্ত আমলে প্রাদেশিক শাসনকর্তার কেন্দ্র পুন্ড্রনগরের অবস্থানও ছিল বরেন্দ্র এলাকায়। এই নামে সমগ্র এলাকা পরিচালিত হতো। এ কারণে একে জনপদ বলা না গেলেও প্রাচীন বাংলার ইতিহাসে একে জনপদের মর্যাদা দেয়া হয়। পাল রাজারা উত্তরবঙ্গকে তাদের পিতৃভূমি বলে মনে করত। সে কারণে এর নামকরণ করা হয় বারিন্দ্রী। বরেন্দ্র শব্দের উৎপত্তি এই বারিন্দ্রী থেকেই।
গৌড়: পাণিনির গ্রন্থে সর্বপ্রথম গৌড় জনপদটির উল্লেখ পাওয়া যায়। গৌড় জনপদটি সুপরিচিত একটি জনপদ হলেও এর নামকরণের কারণ কিংবা কোন অঞ্চল নিয়ে এটি গঠিত ছিলো, তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে হর্ষবর্ধন এর কিছু শিলালিপি থেকে এটুকু জানা যায় যে, গৌড়দেশ সমুদ্র উপকূলের কাছাকাছি কোথাও ছিল।
পাল রাজাদের আমলে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গৌড়দেশের অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেই সময়ে গৌড়ের নাম-ডাকও সবচেয়ে বেশি ছিল। কিন্তু পাল সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে আসলে গৌড়ের সীমানা ছোট হয়ে যায়। আধুনিক মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, বর্ধমান ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ এর কিছু অংশকে গৌড়ের সীমানা হিসেবে মনে করা হয়। মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ ছিল গৌড়ের রাজা শশাংকের রাজধানী। মুসলমান যুগের শুরুতে মালদহ জেলার লক্ষণাবতীকে গৌড় নামে অভিহিত করা হলেও পরবর্তীতে গৌড় বলতে সমগ্র বাংলাকে বুঝাত।
বঙ্গ: বৃহত্তর ঢাকা, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, বরিশাল, পাবনা, ফরিদপুর নোয়াখালী, বাকেরগঞ্জ ও পটুয়াখালীর নিম্ন জলাভূমি এবং পশ্চিমের উচ্চভূমি যশোর, কুষ্টিয়া, নদীয়া, শান্তিপুর ও ঢাকার বিক্রমপুর সংলগ্ন অঞ্চল ছিল বঙ্গ জনপদের অন্তর্গত। পাঠান আমলে সমগ্র বাংলা বঙ্গ নামে ঐক্যবদ্ধ হয়। প্রাচীন বঙ্গ ছিল একটি শক্তিশালী রাজ্য। ঐতরেয় আরণ্যক’ গ্রন্থে বঙ্গ নামে উল্লেখ পাওয়া যায়। এছাড়া রামায়ণ, মহাভারতে এবং কালিদাসের ‘রঘুবংশ’ গ্রন্থে ‘বঙ্গ’ নামের উল্লেখ পাওয়া যায়।
সমতট: চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাং এর বিবরণ অনুযায়ী সমতট ছিল বঙ্গ রাজ্যের দক্ষিণ পূর্বাংশের একটি নতুন রাজ্য। মেঘনা নদীর মোহনাসহ বর্তমান কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চল সমতটের অন্তর্ভুক্ত। কুমিল্লা জেলার বড়-কামতা সমতট রাজ্যের রাজধানী ছিল বলে জানা যায়। কুমিল্লা ময়নামতিতে পাওয়া প্রাচীন নিদর্শনের মধ্যে অন্যতম ‘শালবন বিহার’।
রাঢ়: রাঢ় বাংলার একটি প্রাচীন জনপদ। ভাগীরথী নদীর পশ্চিম তীর হতে গঙ্গা নদীর দক্ষিণাঞ্চল রাঢ় অঞ্চলের অন্তর্গত। অজয় নদী রাঢ় অঞ্চলকে দুই ভাগে ভাগ করেছে। উত্তর রাঢ় বর্তমান মুর্শিদাবাদ জেলার পশ্চিমাংশ সমগ্র বীরভূম জেলা এবং বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা। দক্ষিণ রাঢ় বর্ধমানে দক্ষিণাংশ হুগলি এবং হাওড়া জেলা।
হরিকেল: সপ্তম শতকের লেখকেরা হরিকেল নামে একটি জনপদের বর্ণনা করেছেন। চীনা ভ্রমণকারী ইৎ সিং বলেছেন, হরিকেল ছিল পূর্ব ভারতের শেষ সীমায়। ত্রিপুরার শৈলশ্রেণির সমান্তরাল অঞ্চল সিলেট হতে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হরিকেল বিস্তৃত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্ষিত দুইটি শিলালিপিতে হরিকেল সিলেটের সঙ্গে সমর্থক বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তাম্রলিপ্ত: তাম্রলিপ্ত নামক জনপদ হরিকেল ও রাঢ়ের দক্ষিণে অবস্থিত ছিল বলে ধারণা করা হয়। তাম্রলিপ্ত প্রাচীন বাংলার একটি বিখ্যাত বন্দর ছিল। বর্তমান মেদিনীপুর জেলার তমলুকই এলাকাই ছিল তাম্রলিপ্ত জনপদের কেন্দ্রস্থল। ‘পেরিপ্লাস’ নামক গ্রন্থে এবং টলেমি, ফা-হিয়েন, হিউয়েন সাং ও ইৎ সিংয়ের বিবরণে এই তাম্রলিপ্ত জনপদের নাম বন্দর হিসেবে উল্লেখ আছে। সপ্তম শতক হতে এটা দণ্ডভুক্তি নামে পরিচিত হতে থাকে। আট শতকের পর হতেই তাম্রলিপ্ত বন্দরের সমৃদ্ধি নষ্ট হয়।
চন্দ্রদ্বীপ/বাকলা: ‘আইন-ই-আকবরী’ গ্রন্থে উল্লেখিত বাকলা পরগণা বর্তমান বরিশাল জেলার অন্তর্গত। মধ্যযুগে বর্তমানে বরিশাল জেলাই ছিল চন্দ্রদ্বীপের মূল ভূখণ্ড ও প্রাণকেন্দ্র। এ প্রাচীন জনপদটি বালেশ্বর ও মেঘনার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ছিল। পাল যুগে এটি ত্রৈলোক্যচন্দ্রের শাসনাধীন ভূখণ্ডরূপে শাসিত হতো।
এভাবে, অতি প্রাচীনকাল হতে ছয়-সাত শতক পর্যন্ত প্রাচীন বাংলার বিভিন্ন অংশ বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিলো। সপ্তম শতকের গোড়ার দিকে শশাংক গৌড়ের রাজা হয়ে মুর্শিদাবাদ হতে উৎকল (উত্তর উড়িষ্যা) পর্যন্ত সমগ্র এলাকাকে সংঘবদ্ধ করেন। তারপর হতে বাংলা মূলত তিনটি জনপদের নামে পরিচিত হতে থাকে। যথাক্রমে, পুন্ড্রবর্ধন, গৌড় ও বঙ্গ। বাকী অন্যান্য জনপদগুলো কালের পরিক্রমায় এ তিনটির মধ্যে বিলীন হয়ে যায়।
বিভক্ত জনপদগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রচেষ্টা পাল ও সেন রাজাদের আমলেই অনেকটা পরিপূর্ণতা লাভ করে। শশাংক এবং পাল রাজারা ভৌগলিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের রাজা হয়েও ‘রাঢ়াধিপতি’ বা ‘গৌড়েশ্বর’ বলেই পরিচয় দিতেন। ফলে, ‘গৌড়’ নামটি পরিচিতি লাভ করে। এভাবে, জনপদগুলো প্রাচীন বাংলায় প্রথম ভূখণ্ডগত ইউনিট বা প্রশাসনিক ইউনিট হিসাবে ভূমিকা পালন করে, যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক ঐক্য গঠনে সহায়তা করেছিলো।
লেখক: শিক্ষার্থী, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্যসূত্র:
১। https://bangleretihas.wordpress.com/প্রাচীন-বাংলার-জনপদ/
২। https://bn.wikipedia.org/wiki/প্রাচীন-বাংলার-জনপদ/
৩। https://www.linkedin.com/pulse/পরচন-ইতহস-বলর-জনপদ-mehedi-hasan/