০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওআইসি-কে সংযত হতে বললো ভারত

অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের বিবৃতির কড়া নিন্দা করলো ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সোমবার এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, “ওই সংস্থার বিবৃতি আমাদের নজরে এসেছে। তাদের অবাঞ্ছিত এবং সংকীর্ণ মানসিকতার বিবৃতিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। ভারত সরকার সমস্ত ধর্মকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়। কোনও ব্যক্তি বিশেষ টুইটে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেছেন এবং মন্তব্য করেছেন। তাঁদের ওই মন্তব্য ভারত সরকার কখনওই অনুমোদন করে না। যাঁরা এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, “তারপরেও ওআইসির নেতৃত্ব উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নানা বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন। এতে তাঁদের বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডাই ফের প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এতে কায়েমি স্বার্থ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। ভারত সরকার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনকে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলছে। তারা যেন সব ধর্ম এবং বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয়।”

এক সপ্তাহ আগে ধর্মীয় পয়গম্বরদের সম্পর্কে একটি চ্যানেলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপূর শর্মা। দলের দিল্লি শাখার প্রধান মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দলও টুইটে একই ধরনের মন্তব্য করেন। কিন্তু গত সাতদিনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সব মন্তব্যের কোনও নিন্দা করেননি।

বিজেপি নেতা নেত্রীদের ওইসব মন্তব্য ঘিরে পশ্চিম এশিয়ার ইসলামিক দেশগুলিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেক দেশ ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবি তুলেছে। কোনও কোনও দেশ ভারত সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে।

এই চাপের মুখে পড়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নুপূরকে সাসপেন্ড করেছে এবং জিন্দলকে বহিষ্কার করেছে। তার পরেও ওআইসি ভারত সরকার তথা কেন্দ্রের শাসকদলের কড়া সমালোচনা করে। তারই প্রতিবাদে বিদেশ মন্ত্রক সোমবার বিবৃতি জারি করে ওআইসিকে সংযত থাকতে বললো।

কাতার, কুয়েত এবং ইরান ইতিমধ্যে ভারতীয় কূটনীতিকদের ডেকে সতর্ক করেছে। কড়া বিবৃতি দিয়েছে সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং বাহরাইন। এছাড়াও বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে ওআইসি এবং আফগানিস্তানের তালিবান শাসক। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ওআইসি-কে সংযত হতে বললো ভারত

প্রকাশ: ০৭:৪৫:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুন ২০২২

অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের বিবৃতির কড়া নিন্দা করলো ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী সোমবার এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, “ওই সংস্থার বিবৃতি আমাদের নজরে এসেছে। তাদের অবাঞ্ছিত এবং সংকীর্ণ মানসিকতার বিবৃতিকে আমরা প্রত্যাখ্যান করছি। ভারত সরকার সমস্ত ধর্মকে সর্বোচ্চ মর্যাদা দেয়। কোনও ব্যক্তি বিশেষ টুইটে ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলেছেন এবং মন্তব্য করেছেন। তাঁদের ওই মন্তব্য ভারত সরকার কখনওই অনুমোদন করে না। যাঁরা এই ধরনের মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।”

পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র আরও বলেন, “তারপরেও ওআইসির নেতৃত্ব উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে নানা বিভ্রান্তিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন। এতে তাঁদের বিচ্ছিন্নতাবাদী এজেন্ডাই ফের প্রকাশ হয়ে পড়েছে। এতে কায়েমি স্বার্থ মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে। ভারত সরকার অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনকে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে বলছে। তারা যেন সব ধর্ম এবং বিশ্বাসকে মর্যাদা দেয়।”

এক সপ্তাহ আগে ধর্মীয় পয়গম্বরদের সম্পর্কে একটি চ্যানেলে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র নুপূর শর্মা। দলের দিল্লি শাখার প্রধান মুখপাত্র নবীন কুমার জিন্দলও টুইটে একই ধরনের মন্তব্য করেন। কিন্তু গত সাতদিনে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই সব মন্তব্যের কোনও নিন্দা করেননি।

বিজেপি নেতা নেত্রীদের ওইসব মন্তব্য ঘিরে পশ্চিম এশিয়ার ইসলামিক দেশগুলিতে নিন্দার ঝড় উঠেছে। অনেক দেশ ভারতীয় পণ্য বয়কটের দাবি তুলেছে। কোনও কোনও দেশ ভারত সরকারকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করেছে।

এই চাপের মুখে পড়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নুপূরকে সাসপেন্ড করেছে এবং জিন্দলকে বহিষ্কার করেছে। তার পরেও ওআইসি ভারত সরকার তথা কেন্দ্রের শাসকদলের কড়া সমালোচনা করে। তারই প্রতিবাদে বিদেশ মন্ত্রক সোমবার বিবৃতি জারি করে ওআইসিকে সংযত থাকতে বললো।

কাতার, কুয়েত এবং ইরান ইতিমধ্যে ভারতীয় কূটনীতিকদের ডেকে সতর্ক করেছে। কড়া বিবৃতি দিয়েছে সৌদি আরব, পাকিস্তান এবং বাহরাইন। এছাড়াও বিজেপি নেতাদের মন্তব্যের প্রতিবাদ করেছে ওআইসি এবং আফগানিস্তানের তালিবান শাসক। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক