০৬:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে মার্কিন রিপোর্ট খারিজ দিল্লির

‘ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’-এর তরফে শনিবার এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা বার্তা দিয়েছে দিল্লি। ‘ইউএসসিআইআরএফ’ -এর প্রেক্ষিতে দিল্লি পাল্টা জানিয়েছে, সংগঠনের গোটা বক্তব্যই ‘সঠিক নয়’ এবং ‘পক্ষপাতদুষ্ট’।

প্রসঙ্গত, সরকারের সমালোচকদের নিয়ে ভারতে সরকারের মনোভাবের সমালোচনা করে এই সংগঠন।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা দেখেছি ভারতকে নিয়ে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের তরফে পক্ষপাতদুষ্ট ও বেঠিক মন্তব্য। এই মন্তব্যই বুঝিয়ে দেয় ভারত সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাব। দেশের ঐক্যের সত্ত্বা ও গণতান্ত্রিক বিষয়ের সত্ত্বা।”

এর আগে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের তরফে একটি টুইটে বলা হয়, “ভারতে মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক, কর্মী এবং বিশ্বাসী নেতারা ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থার কথা বলার এবং রিপোর্ট করার জন্য হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এটি গণতন্ত্রের ইতিহাস সহ একটি দেশের প্রতিফলন নয়।”

আরও একটি টুইটে ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন, সরকারের সমালোচকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রসঙ্গ তোলা হয়। একটি টুইটে সাম্প্রতিককালে তিস্তা সেতালভাড়ের গ্রেফতারি সংক্রান্ত বিষয়কেও তুলে ধরা হয়। তুলে ধরা হয় গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ‘ভয়েস অফ আমেরিকা’র রিপোর্টকে। যদিও দিল্লি সেই সমস্ত রিপোর্টকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকার এই সংগঠন বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় অধিকার সংক্রান্ত বিষয়কে নজরে রাখে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রশ্নে মার্কিন রিপোর্ট খারিজ দিল্লির

প্রকাশ: ০৫:১০:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

‘ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’-এর তরফে শনিবার এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা বার্তা দিয়েছে দিল্লি। ‘ইউএসসিআইআরএফ’ -এর প্রেক্ষিতে দিল্লি পাল্টা জানিয়েছে, সংগঠনের গোটা বক্তব্যই ‘সঠিক নয়’ এবং ‘পক্ষপাতদুষ্ট’।

প্রসঙ্গত, সরকারের সমালোচকদের নিয়ে ভারতে সরকারের মনোভাবের সমালোচনা করে এই সংগঠন।

ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সচিব অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা দেখেছি ভারতকে নিয়ে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের তরফে পক্ষপাতদুষ্ট ও বেঠিক মন্তব্য। এই মন্তব্যই বুঝিয়ে দেয় ভারত সম্পর্কে সঠিক ধারণার অভাব। দেশের ঐক্যের সত্ত্বা ও গণতান্ত্রিক বিষয়ের সত্ত্বা।”

এর আগে ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের তরফে একটি টুইটে বলা হয়, “ভারতে মানবাধিকার আইনজীবী, সাংবাদিক, কর্মী এবং বিশ্বাসী নেতারা ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থার কথা বলার এবং রিপোর্ট করার জন্য হয়রানির সম্মুখীন হতে হয়। এটি গণতন্ত্রের ইতিহাস সহ একটি দেশের প্রতিফলন নয়।”

আরও একটি টুইটে ভারতকে ‘কান্ট্রি অফ পার্টিকুলার কনসার্ন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় অধিকার লঙ্ঘন, সরকারের সমালোচকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রসঙ্গ তোলা হয়। একটি টুইটে সাম্প্রতিককালে তিস্তা সেতালভাড়ের গ্রেফতারি সংক্রান্ত বিষয়কেও তুলে ধরা হয়। তুলে ধরা হয় গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে ‘ভয়েস অফ আমেরিকা’র রিপোর্টকে। যদিও দিল্লি সেই সমস্ত রিপোর্টকে কার্যত খারিজ করে দিয়েছে। উল্লেখ্য, আমেরিকার এই সংগঠন বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় অধিকার সংক্রান্ত বিষয়কে নজরে রাখে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক