নীতি আয়োগের বৈঠকে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গলায়। রবিবার এই বিষয়ে বলতে গিয়ে কোভিড অতিমারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের উদাহরণ দেন তিনি। পাশাপাশি উল্লেখ করেন জি-২০ সম্মেলনের কথাও।
তাঁর কথায়, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে প্রত্যেক রাজ্যের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এটাই ভারতকে উন্নয়নশীল দেশ থেকে বিশ্ব গুরু হতে সাহায্য করছে।” বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “কোভিড কালে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন কাঠামো সারা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে থেকেছে। বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে বার্তা দিতে পেরেছে ভারত। এটা রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া কখনই সম্ভব হত না।”
অতিমারী ঠেকাতে তাঁরাই সরকারি সমস্ত সুযোগ সুবিধা তৃণমূলস্তরে পৌঁছে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আগামী বছর ভারতে হতে চলেছে জি-২০ সম্মেলন। রবিবারের নীতি আয়োগের বৈঠকে এই নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। “এটা আমাদের কাছে একটা বিরাট সুযোগ। এর মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে এটা দেখাতে পারব যে, ভারত মানে শুধু দিল্লি নয়। একাধিক রাজ্য আর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নিয়ে গড়ে উঠেছে এই দেশ।” নীতি আয়োগের বৈঠকে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
জি-২০ সম্মেলন নিয়ে দেশজুড়ে প্রচারের কথাও বলেও তিনি। “এই সম্মেলনের আগে আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবানদের খুঁজে বের করতে হবে। যাতে তাঁদের বিষয়ে বিশ্বের সামনে তুলে ধরা যায়। জি-২০ সম্মেলনের সুবিধা পেতে প্রত্যেক রাজ্যের টিম তৈরি করা উচিত।” নীতি আয়োগের বৈঠকে পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে কৃষিতে বৈচিত্র্য আনার ক্ষেত্রে রাজ্যগুলোকে জোর দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ভোজ্য তেলের উৎপাদন বৃদ্ধির কথাও উঠেছে নীতি আয়োগের বৈঠকে। “আমাদের ৫০ শতাংশ ভোজ্য তেল এখনও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এই আমদানির পরিমাণ কমাতে হবে। সেই কারণেই কৃষিতে আরও স্বয়ং সম্পূর্ণ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।” বৈঠক শেষে জানান কেন্দ্রের এক আধিকারিক।
কোভিড অতিমারী কারণে গত বছর ভার্চুয়াল মাধ্যমে হয়েছিল নীতি আয়োগের বৈঠক। এবারের বৈঠকে ছিলেন ২৩ জন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন ৩ জন লেফটেন্যান্ট গভর্নর এবং ২ জন প্রশাসক। বৈঠকের ছিলেন একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক