০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসিনা-মোদি বৈঠক: ৭ সমঝোতা স্মারক সই

ভারতের নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ২ দেশের সই হওয়া ৭টি সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে অবগত করা হয়।

সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে-

১. রহমিপুর হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে কুশিয়ারা নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক।

২. ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক।

৩. ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি বিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৬. প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৭. মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি খুলনার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০ মেগাওয়াটের ২টি) মৈত্রী সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।

এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেল সেতু, খুলনা-দর্শনা ও পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেলপথ। ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারসহ মোট ২ বিলিয়ন ডলারে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে।

৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রূপসা রেলসেতুটি ৬৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর সিঙ্গেল ট্র্যাক ব্রডগেজ রেল প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরকে খুলনার সঙ্গে রেলপথে যুক্ত করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্য ও উত্তর অংশের সংযোগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ও গেদে সীমান্তে সংযোগ স্থাপন করবে।

২ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ২৫টি প্যাকেজে সড়ক নির্মাণের যন্ত্রপাতি সরবরাহেরও উদ্বোধন করেন।

খুলনা দর্শনা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পটি বর্তমান (ব্রডগেজ দ্বিগুণ) অবকাঠামোর একটি আপগ্রেডেশন, যা গেদে-দর্শনা থেকে খুলনার বর্তমান ক্রস বর্ডার রেল সংযোগকে সংযুক্ত করবে। এর ফলে ২ দেশের মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকার সঙ্গে মোংলা বন্দরের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইনটি বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটি দিনাজপুরের বিরল ও পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুরের বিদ্যমান ক্রস বর্ডার রেলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে এবং দ্বিপাক্ষিক রেল সংযোগ বৃদ্ধি করবে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

হাসিনা-মোদি বৈঠক: ৭ সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশ: ০৭:২৭:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতের নয়াদিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে ২ দেশের সই হওয়া ৭টি সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে অবগত করা হয়।

সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে-

১. রহমিপুর হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে কুশিয়ারা নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক।

২. ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক।

৩. ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি বিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৬. প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

৭. মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্যে সমঝোতা স্মারক।

এছাড়াও, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি খুলনার রামপালে ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (৬৬০ মেগাওয়াটের ২টি) মৈত্রী সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ ৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন।

এর মধ্যে রয়েছে রূপসা নদীর ওপর রেল সেতু, খুলনা-দর্শনা ও পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেলপথ। ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারসহ মোট ২ বিলিয়ন ডলারে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি হচ্ছে।

৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার রূপসা রেলসেতুটি ৬৪ দশমিক ৭ কিলোমিটার খুলনা-মোংলা বন্দর সিঙ্গেল ট্র্যাক ব্রডগেজ রেল প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি প্রথমবারের মতো মোংলা বন্দরকে খুলনার সঙ্গে রেলপথে যুক্ত করবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্য ও উত্তর অংশের সংযোগ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পেট্রাপোল ও গেদে সীমান্তে সংযোগ স্থাপন করবে।

২ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ বিভাগকে ২৫টি প্যাকেজে সড়ক নির্মাণের যন্ত্রপাতি সরবরাহেরও উদ্বোধন করেন।

খুলনা দর্শনা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পটি বর্তমান (ব্রডগেজ দ্বিগুণ) অবকাঠামোর একটি আপগ্রেডেশন, যা গেদে-দর্শনা থেকে খুলনার বর্তমান ক্রস বর্ডার রেল সংযোগকে সংযুক্ত করবে। এর ফলে ২ দেশের মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকার সঙ্গে মোংলা বন্দরের রেল যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৩১২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

পার্বতীপুর-কাউনিয়া রেললাইনটি বিদ্যমান মিটারগেজ লাইনকে ডুয়েলগেজ লাইনে রূপান্তরের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১২০ দশমিক ৪১ মিলিয়ন ডলার। প্রকল্পটি দিনাজপুরের বিরল ও পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুরের বিদ্যমান ক্রস বর্ডার রেলের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করবে এবং দ্বিপাক্ষিক রেল সংযোগ বৃদ্ধি করবে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক