০৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১২ সেপ্টেম্বর নাগাদ লাদাখ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার

ভারতের সীমান্ত এলাকা লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংস এলাকায় পেট্রলিং পয়েন্ট(পিপি)-১৫ থেকে ভারত ও চীনা সেনারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জানিয়েছে, ভারত-চীন সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের ১৬ তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় দেশ গোগরা-হটস্প্রিংস এলাকা থেকে পারস্পরিকভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করার বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে। এতে করে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতি শীলতা বজায় থাকবে।

এর আগে ১৭ জুলাই ভারত ও চীনের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ১৬ তম রাউন্ডের বৈঠক হয়ে। প্রায় ২ মাস পরে অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা পিপলস লিবারেশন তাদের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। জানা গেছে, লাদাখ সীমান্তের পিপি-১৫ থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনাদের অবসান ঘটাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনাপ্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে লাদাখ সীমান্তের পিপি-১৫ থেকে সেনাদের অবসান ঘটানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

নয়াদিল্লী গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই বেইজিংকে বার্তা পাঠাচ্ছে। দেশটি জানিয়েছে, ভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতি কেবল এলএসি (লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল) থেকে উভয় দেশের সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমেই সম্ভব।

ভারতের একাধিক সীমান্ত এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী লঙ্ঘনের জন্য ২০২০ সাল থেকে দুই দেশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে বছর জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।

লাদাখ অঞ্চলের গালওয়ান এলাকায় ভারতীয় ও চীনা সেনাদের সংঘর্ষের পর থেকে উভয় পক্ষের সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে ১৬ দফা বৈঠক হয়েছে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় এবং ৪ জন চীনা সেনা নিহত হয়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

১২ সেপ্টেম্বর নাগাদ লাদাখ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার

প্রকাশ: ০৯:২৪:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২২

ভারতের সীমান্ত এলাকা লাদাখের গোগরা-হট স্প্রিংস এলাকায় পেট্রলিং পয়েন্ট(পিপি)-১৫ থেকে ভারত ও চীনা সেনারা একে অপরের থেকে বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করেছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক টুইট বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জানিয়েছে, ভারত-চীন সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের ১৬ তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উভয় দেশ গোগরা-হটস্প্রিংস এলাকা থেকে পারস্পরিকভাবে সৈন্য প্রত্যাহার করার বিষয়ে একমতে পৌঁছেছে। এতে করে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতি শীলতা বজায় থাকবে।

এর আগে ১৭ জুলাই ভারত ও চীনের সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ১৬ তম রাউন্ডের বৈঠক হয়ে। প্রায় ২ মাস পরে অবশেষে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা পিপলস লিবারেশন তাদের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। জানা গেছে, লাদাখ সীমান্তের পিপি-১৫ থেকে সম্পূর্ণভাবে সেনাদের অবসান ঘটাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মি যৌথ উদ্যোগ নিয়েছে। আগামী সপ্তাহে উজবেকিস্তানের সমরখন্দে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনাপ্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে লাদাখ সীমান্তের পিপি-১৫ থেকে সেনাদের অবসান ঘটানোর বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।

নয়াদিল্লী গত কয়েক সপ্তাহ থেকেই বেইজিংকে বার্তা পাঠাচ্ছে। দেশটি জানিয়েছে, ভারত-চীন সম্পর্কের উন্নতি কেবল এলএসি (লাইন অব একচুয়াল কন্ট্রোল) থেকে উভয় দেশের সেনা প্রত্যাহারের মাধ্যমেই সম্ভব।

ভারতের একাধিক সীমান্ত এলাকায় চীনা সেনাবাহিনী লঙ্ঘনের জন্য ২০২০ সাল থেকে দুই দেশ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সে বছর জুনে গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় ও চীনা সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হওয়ার পরে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে।

লাদাখ অঞ্চলের গালওয়ান এলাকায় ভারতীয় ও চীনা সেনাদের সংঘর্ষের পর থেকে উভয় পক্ষের সিনিয়র সামরিক কমান্ডারদের মধ্যে ১৬ দফা বৈঠক হয়েছে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন ভারতীয় এবং ৪ জন চীনা সেনা নিহত হয়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক