বৃহস্পতিবার এসসিও বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর যোগদানের আগে নাম না করে জঙ্গিদের মদদ দেওয়ার জন্য চীনকে নিশানা করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তাঁর কথায়, শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের কথা ভেবে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না কিছু রাষ্ট্র।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে সেরকম জঙ্গিদেরই রাষ্ট্রসংঘে নিষিদ্ধের তালিকায় রাখা হয়। সেদিক থেকে আমার মনে হয়, জাতীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জঙ্গিদের নিষিদ্ধ করার বিষয়টি বিবেচনা করা দরকার।”
মূলত কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রীকে নিষিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রসংঘে যৌথ প্রস্তাব পেশ করেছিল ভারত-আমেরিকা। কিন্তু সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা জানিয়েছিলো চীন। আর এদিন নাম না করে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরে চীনকে কটাক্ষ করেছেন বিদেশমন্ত্রী।
তাঁর বক্তব্য, আব্দুল রউফ আজহারকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে যে প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল, সেটির বিরোধিতা করেছিলো চীন। ফরাসি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এরকম ভাবেই চীনের সমালোচনা করেছেন তিনি।
জয়শঙ্কর বলেন, “কিছু দেশ বেছে বেছে জঙ্গিদের নিষিদ্ধ করতে চাইছে। তাতেই বোঝা যায় নিজের স্বার্থ এবং উন্নতির কথা ভেবেই এই কাজ করা হচ্ছে, যেন নির্দিষ্ট কিছু দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বোঝাপড়ায় কোনও আঁচ না লাগে।”
সম্প্রতি লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত ও চীন। এদিকে আজ একই মঞ্চে উপস্থিত হবেন চীনের প্রধানমন্ত্রী জিনপিং এবং মোদী। অবশ্য দুই রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা তেমন নেই।
কিন্তু জয়শঙ্করের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এসসিও সামিটের আগেই ভারতের এহেন মন্তব্য প্রভাব ফেলতে পারে অন্যান্য দেশের উপর। সম্প্রতি রুশ রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ভারত-চীনের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা গড়তে উদ্যোগী রাশিয়া। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক