আফগানিস্তানের কাবুলে দাশত-ই-বার্চি এলাকায় শিক্ষা কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ভারত। শনিবার এই হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতি দিয়েছে নয়াদিল্লী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, আত্মঘাতী এই বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
এদিকে, কাবুলের ওই স্কুলে হামলার শিকার হয়েছেন দেশটির শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ের সদস্যরা। শনিবার কাবুলে সংখ্যালঘু এই সম্প্রদায়ের ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে বিরল প্রতিবাদ করেছেন হাজারা সম্প্রদায়ের নারীরা।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার আত্মঘাতী এক হামলাকারী কাবুলের একটি স্টাডি হলে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দিয়েছেন। এই হামলার সময় কাবুলের দাশত-ই-বার্চি এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষা দিচ্ছিলেন শত শত শিক্ষার্থী।
আক্রান্ত আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় ওই এলাকা শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত একটি ছিটমহল এবং সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের আবাসস্থল। হাজারা সম্প্রদায় আফগানিস্তানে ঐতিহাসিকভাবে নিপীড়িত একটি গোষ্ঠী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে সবচেয়ে নৃশংস হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে এই গোষ্ঠী।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (ইউএনএএমএ) বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সর্বশেষ হতাহতের তথ্য অনুযায়ী, কাবুলে হামলায় কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত ও আরও ৮২ জন আহত হয়েছেন।
ভারতের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এক টুইট বার্তায় বলেন, “কাবুলের দাশত-ই-বারচির শিক্ষা কেন্দ্রে গতকালের সন্ত্রাসী হামলায় আমরা শোকাহত এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।” তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাস্থলে নিরীহ ছাত্রদের ক্রমাগত টার্গেট করার জন্য ভারত কঠোর নিন্দা জানায়।
এদিকে, শনিবার তালেবানের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দেশটির সংখ্যালঘু হাজারা সম্প্রদায়ের কয়েক ডজন নারী কাবুল হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন। কাবুল বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রায় ৫০ জন নারীকে ‘হাজারা গণহত্যা বন্ধ কর’, ‘শিয়া হওয়া কোনও অপরাধ নয়’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে দেখা যায়।
পরে তারা দাশত-ই-বার্চি এলাকার একটি হাসপাতালের দিকে যান, যেখানে হামলায় আহত হাজারাদের কয়েকজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক