দশকের পর দশক ধরে বহিঃরাষ্ট্রীয় অর্থায়নে সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে ভারত। বৃহস্পতিবার, সন্ত্রাসবাদের উপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিতর্কে ভাষণ দেওয়ার সময় চীন ও পাকিস্তানের নাম না নিয়েই উভয়কে তোপ দাগান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরণ।
তিনি বলেন, “ভারত সন্ত্রাসবাদের আর্থ-সামাজিক এবং মানবিক মূল্য সম্পর্কে তীব্রভাবে সচেতন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী লড়াইয়ের অগ্রভাগে রয়েছে ভারত। ২০১৮ সালে আমরা পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকার দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে UNOCT-এর প্রোগ্রামগুলোতে ৫,৫০,০০০ মার্কিন ডলার অবদান রেখেছিলাম এবং ২০২১ সালে আমরা $১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রেখেছিলাম।”
উল্লেখ্য, ভারত বর্তমানে ২০২২-এর জন্য নিরাপত্তা পরিষদের সন্ত্রাস-বিরোধী কমিটির সভাপতি এবং ২৮-২৯ অক্টোবর মুম্বাই এবং নয়াদিল্লিতে সন্ত্রাসবিরোধী একটি বিশেষ বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া সহ জাতিসংঘের ১৫-জাতি সংস্থার (নিরাপত্তা পরিষদ) কূটনীতিকদের হোস্ট করবে।
এর আগে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আফ্রিকা বিষয়ক উচ্চ-স্তরের বিতর্কে অংশ নিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ভারতীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরণ। ০৬ থেকে ০৯ অক্টোবর অবধি দেশটিতে অবস্থান করবেন তিনি।
তথ্যটি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছিলো, নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য গ্যাবন চলতি মাসে কমিটির সভাপতিত্ব করছে এবং আফ্রিকা বিষয়ক বৈঠক আহবান করেছে। জানা গিয়েছে, এই আফ্রিকা বিষয়ক বৈঠকের থিম হচ্ছে, “আফ্রিকাতে শান্তি ও নিরাপত্তা: প্রাকৃতিক সম্পদের অবৈধ পাচারের মাধ্যমে সশস্ত্র গোষ্ঠী এবং সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করা।”
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে সফরকালে ০৭ অক্টোবর ভারত-জাতিসংঘ ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ ফান্ডের পঞ্চম বার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানেও যোগ দিবেন মুরালি। ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘের উন্নয়ন অংশীদারি তহবিলে ভারত প্রতিবছর ১৫০ মিলিয়ন ডলার করে জমা করে থাকে।
সফরকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দ, জাতিসংঘের সিনিয়র কর্মকর্তাগণ এবং ভারতীয় সম্প্রদায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে সাক্ষাতের কথা রয়েছে মুরালিধরণের। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক