চণ্ডীগঢ়ে ৯০ তম বায়ুসেনা দিবস উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে শনিবার। দেশের ইতিহাসে এই প্রথমবার রাজধানী দিল্লির বাইরে বায়ুসেনা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। সুখনা লেকের উপরে একঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ৮০ টি এয়ারক্র্যাফ্ট উড়বে এদিন।
এদিন বায়ুসেনার একটি নতুন সমর-ইউনিফর্মের কথাও এদিন প্রকাশ করা হয়। চিফ অব এয়ার স্টাফ, এয়ার চিফ মার্শাল ভি আর চৌধুরী এদিন প্যারেড দেখার সময় উপস্থিত ছিলেন এবং বায়ুসেনার একটি নতুন শাখার কথাও ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে, এটি ঘোষণা করতে পেরে আমি গর্বিত যে সরকার বায়ুসেনার অফিসারদের জন্য ওয়েপন সিস্টেম ব্র্যাঞ্চের অনুমোদন দিয়েছে। স্বাধীনতার পর এই প্রথম এমন কোনও নতুন অপারেশনাল ব্র্যাঞ্চ চালু করা হল। সারফেস-টু-সারফেস মিসাইল, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল, রিমোট পাইলটেড এয়ারক্র্যাফ্ট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এর মাধ্যমে সুবিধা হবে।”
এয়ার চিফ ভি আর চৌধুরী আরও জানান, এর ফলে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকারও বেশি সাশ্রয় হবে এবং ফ্লাইং ট্রেনিংয়ের জন্য ব্যয়ও কমবে।
এয়ার চিফ মার্শাল আরও জানান, বায়ুসেনা আগামী বছরে মহিলা অগ্নিবীরদের বাহিনীতে নেওয়ার পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই বছর বায়ুসেনা দিবসের মুখ্য বিষয় হল ‘আত্মনির্ভরতা’। বায়ুসেনা দিবসে মেড-ইন-ইন্ডিয়া সমরসজ্জার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহেই বাহিনীতে নিযুক্ত হওয়া ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হালকা ওজনের হেলিকপ্টার এদিন বায়ুসেনা দিবসের প্রদর্শনীতে অংশ নেয়। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এদিন সকাল ৯টায় চণ্ডীগঢ় এয়ার বেসে বায়ুসেনা প্রধানের ভাষণ দিয়ে শুরু হয় বায়ুসেনা দিবসের অনুষ্ঠান। সুখনা লেকের উপর ৮০ টি এয়ারক্র্যাফ্টের ফ্লাই-পাস্ট হবে দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ। এমকে-ফোর চপারও এদিন প্যারেডে অংশ নেবে রুদ্র ফর্মেশনে। উল্লেখ্য, এদিন ফ্লাই-পাস্টে তেজস, সুখোই, মিগ-২৯, জাগুয়ার, রাফাল সহ অন্যান্য যুদ্ধবিমানও অংশ নেবে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক