০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় অপরাধ: পাকিস্তানকে ভারত

শনিবার জার্মানি ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে কাশ্মীর ইস্যুতে মন্তব্য করেন। পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যু টেনে আনেন। ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। ভারত তরফে জানানো হয়েছে, আন্তঃসীমান্তে সন্ত্রাসবাদ গুরুতর। একে প্রশ্রয় দেওয়া জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া সমান।

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, বিশেষ করে আন্তঃসীমান্তে জঙ্গি হামলা বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর কয়েক দশক ধরে এই ধরনের সন্ত্রাসী অভিযানের শিকার হয়েছে। এখনও জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রয়েছে। ভারতের অন্যান্য অংশের মতো জম্মু ও কাশ্মীরের বিদেশিরা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘ ও এফএটিএফ ক্রমাগত এই হামলা পর্যবেক্ষণ করছে। পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে। ২৬/১১ এর মতো হামলায় পাকিস্তানের মদদ রয়েছে।

এরপরেই কোনও দেশের নাম না করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, এখনও সন্ত্রাসবাদের প্রতি বিশ্বের বেশ কিছু দেশ উদাসীন। যার জেরে জঙ্গিরা প্রশ্রয় পায়। শান্তি নষ্ট হয়।

এদিকে, জার্মানির বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে পাক মন্ত্রীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম। ৩ অক্টোবর মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন।

ডোনাল্ড ব্লোম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন। মুজাফফরাবাদে কায়েদ-ই-আজম মেমোরিলায় ডাক বাংলো পরিদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন। মার্কিন কোনও উচ্চ স্থানীয় কূটনীতিক আধিকারিকের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভ্রমণ এবং তাকে আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করা স্বাভাবিকভাবে ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের ওপর বারবার চাপ প্রয়োগ করছে আমেরিকা। এক মাস আগেই বাইডেন প্রশাসন ভারতের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান মেরামতের জন্য ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এছাড়া একদিন আগেই মার্কিন নাগরিকদের ভারত ভ্রমণের ওপর আমেরিকা নির্দেশিকা জারি করেছে।

সেখানে জানানো হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেন কোনও মার্কিন পর্যটক না যায়। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে মার্কিন সরকার তাদের নাগরিকদের নিষেধ করেছে। একই ধরনের নির্দেশিকা কানাডা সরকারের তরফেও প্রকাশ করা হয়েছে। যার জেরে ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

ট্যাগ:

সীমান্তে সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় অপরাধ: পাকিস্তানকে ভারত

প্রকাশ: ০৩:২৭:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অক্টোবর ২০২২

শনিবার জার্মানি ও পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে কাশ্মীর ইস্যুতে মন্তব্য করেন। পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ইস্যু টেনে আনেন। ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। ভারত তরফে জানানো হয়েছে, আন্তঃসীমান্তে সন্ত্রাসবাদ গুরুতর। একে প্রশ্রয় দেওয়া জঙ্গিদের প্রশ্রয় দেওয়া সমান।

ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ, বিশেষ করে আন্তঃসীমান্তে জঙ্গি হামলা বিশেষ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের দেশগুলো নিজেদের দায় এড়িয়ে যেতে পারে না। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীর কয়েক দশক ধরে এই ধরনের সন্ত্রাসী অভিযানের শিকার হয়েছে। এখনও জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা অব্যাহত রয়েছে। ভারতের অন্যান্য অংশের মতো জম্মু ও কাশ্মীরের বিদেশিরা জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন। রাষ্ট্রসংঘ ও এফএটিএফ ক্রমাগত এই হামলা পর্যবেক্ষণ করছে। পাকিস্তান ভিত্তিক জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে। ২৬/১১ এর মতো হামলায় পাকিস্তানের মদদ রয়েছে।

এরপরেই কোনও দেশের নাম না করে বিদেশমন্ত্রকের তরফে বলা হয়, এখনও সন্ত্রাসবাদের প্রতি বিশ্বের বেশ কিছু দেশ উদাসীন। যার জেরে জঙ্গিরা প্রশ্রয় পায়। শান্তি নষ্ট হয়।

এদিকে, জার্মানির বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে পাক মন্ত্রীর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনের আগেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম। ৩ অক্টোবর মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লোম পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করেন।

ডোনাল্ড ব্লোম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি প্রকাশ করেছিলেন। মুজাফফরাবাদে কায়েদ-ই-আজম মেমোরিলায় ডাক বাংলো পরিদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন। মার্কিন কোনও উচ্চ স্থানীয় কূটনীতিক আধিকারিকের পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভ্রমণ এবং তাকে আজাদ কাশ্মীর বলে উল্লেখ করা স্বাভাবিকভাবে ভারতের ওপর চাপ বাড়িয়েছে।

পাকিস্তান ইস্যুতে ভারতের ওপর বারবার চাপ প্রয়োগ করছে আমেরিকা। এক মাস আগেই বাইডেন প্রশাসন ভারতের এফ-১৬ যুদ্ধ বিমান মেরামতের জন্য ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান দিয়েছে। এছাড়া একদিন আগেই মার্কিন নাগরিকদের ভারত ভ্রমণের ওপর আমেরিকা নির্দেশিকা জারি করেছে।

সেখানে জানানো হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যেন কোনও মার্কিন পর্যটক না যায়। এছাড়াও জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে মার্কিন সরকার তাদের নাগরিকদের নিষেধ করেছে। একই ধরনের নির্দেশিকা কানাডা সরকারের তরফেও প্রকাশ করা হয়েছে। যার জেরে ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক