০২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদীর

গত বাজেটেই ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অবশেষে সেই ঘোষণা মেনে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের ৭৫ জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অনলাইনে ওই উদ্বোধনের পর ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি বলেন, এর ফলে আমজনতা ন্যূনতম ডিজিটাল পরিকাঠামোয় সর্বোচ্চ পরিষেবা পাবেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে গরীবের দরজায় পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর সরকারের।

ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এই পরিষেবার ফলে কাগজপত্র ও অন্যান্য ঝামেলার হাত থেকে রেহাই মিলবে। একদিকে যেমন নানা সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনই শক্তিশালী ডিজিটাল ব্যাংকিং সুরক্ষাও পাবেন গ্রাহকরা।”

মোদী বলেন, তাঁর সরকার দু’টি জিনিসের উপর কাজ করতে চায়। একটি হল, ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি। অন্যটি হল আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা। তাঁর কথায়, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্যাংকগুলোকে গরিবের দরজায় পৌঁছে দেব। আর এটা করতে গেলে প্রথমেই গরিব মানুষ ও ব্যাংকের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। আমরা শারীরিক দূরত্ব ও মানসিক দূরত্ব কমাতে চাই। এটাই প্রধান বাধা।”

সেই সঙ্গে তিনি জানান, ভারত যে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে তা মেনে নিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এমনকী, প্রযুক্তির দুনিয়ার সবচেয়ে সফল মানুষরাও ভারতের এই বিভাগে সাফল্যে চমকিত বলেই দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি কোণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা পৌঁছে দিতেই ইউনিটগুলোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১১টি সরকারি ব্যাংক, ১২টি বেসরকারি ব্যাংক ও একটি ছোট আর্থিক সংস্থা এই উদ্যোগে অংশ নিয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটের উদ্বোধন মোদীর

প্রকাশ: ০২:০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২২

গত বাজেটেই ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। অবশেষে সেই ঘোষণা মেনে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশের ৭৫ জেলায় ৭৫টি ডিজিটাল ব্যাংকিং ইউনিটের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন অনলাইনে ওই উদ্বোধনের পর ভার্চুয়াল ভাষণে তিনি বলেন, এর ফলে আমজনতা ন্যূনতম ডিজিটাল পরিকাঠামোয় সর্বোচ্চ পরিষেবা পাবেন। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে গরীবের দরজায় পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য তাঁর সরকারের।

ঠিক কী বলেছেন প্রধানমন্ত্রী? তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এই পরিষেবার ফলে কাগজপত্র ও অন্যান্য ঝামেলার হাত থেকে রেহাই মিলবে। একদিকে যেমন নানা সুবিধা পাওয়া যাবে, তেমনই শক্তিশালী ডিজিটাল ব্যাংকিং সুরক্ষাও পাবেন গ্রাহকরা।”

মোদী বলেন, তাঁর সরকার দু’টি জিনিসের উপর কাজ করতে চায়। একটি হল, ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতি। অন্যটি হল আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা। তাঁর কথায়, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ব্যাংকগুলোকে গরিবের দরজায় পৌঁছে দেব। আর এটা করতে গেলে প্রথমেই গরিব মানুষ ও ব্যাংকের মধ্যে দূরত্ব কমাতে হবে। আমরা শারীরিক দূরত্ব ও মানসিক দূরত্ব কমাতে চাই। এটাই প্রধান বাধা।”

সেই সঙ্গে তিনি জানান, ভারত যে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে তা মেনে নিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। এমনকী, প্রযুক্তির দুনিয়ার সবচেয়ে সফল মানুষরাও ভারতের এই বিভাগে সাফল্যে চমকিত বলেই দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে, দেশের প্রতিটি কোণে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা পৌঁছে দিতেই ইউনিটগুলোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ১১টি সরকারি ব্যাংক, ১২টি বেসরকারি ব্যাংক ও একটি ছোট আর্থিক সংস্থা এই উদ্যোগে অংশ নিয়েছে বলেও ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক