০৪:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সমৃদ্ধির নয়া যুগে জম্মু ও কাশ্মীর: রাজনাথ

জম্মু ও কাশ্মীরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সম্পূর্ণ উন্নয়ন তখনই সম্ভব হবে, যখন ‘গিলগিট বেলুচিস্তান পর্যন্ত পৌঁছন যাবে’। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের কাছে এক সভায় অংশ নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠে ভূস্বর্গের মাটি থেকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ফের একবার তাঁর কণ্ঠে পাকিস্তানকে টার্গেট করে আক্রমণ শানানোর ইঙ্গিত মেলে।

শ্রীনগরের কাছে বুদগামে ‘শৌর্যদিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে ও লাদাখে আমাদের উন্নয়নের সফর সবেমাত্র শুরু করেছি। এই সফর সম্পূর্ণ হবে যখন আমরা গিলগিট বেলুচিস্তান এর মতো অংশে পৌঁছব। যেখান সংসদীয় রেজোলিউশনের সঙ্গে… আচার্য শঙ্করাচার্য ও বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন পূরণ হবে। ১৯৪৭ সালের উদ্বাস্তুরা ন্যায় পাবেন, তাঁদের জমি ফেরত পাবেন, আর সেই দিন দূরে নেই যখন এই মত পূর্ণতা পাবে।’

সাফ ভাষায় রাজনাথ সিংয়ের এই বক্তব্য কার্যত পাকিস্তানের প্রতি বড়সড় হুঁশিয়ারি বার্তা বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের এয়ারস্ট্রিপে ভারতীয় সেনার পদার্পণের ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সেখানেই পাকিস্তানকে নাম না নিয়ে কার্যত নিশানা শানান রাজনাথ সিং।

পাকিস্তানের উপজাতিরা কাশ্মীরের উপত্যকা দখল করতে গেলে ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতীয় সেনা বাহিনী কাশ্মীরের এয়ারস্ট্রিপে প্রবেশ করে রাজা হরি সিংয়ের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী। সেই উপলক্ষ্যেই আয়োজিত হয় এই শৌর্য দিবস।

এদিনের ভাষণে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে মোদী সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে উপত্যকার উন্নয়ন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে ‘জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন সকালের সূর্য’ বলেও আখ্যা দেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

সমৃদ্ধির নয়া যুগে জম্মু ও কাশ্মীর: রাজনাথ

প্রকাশ: ০৩:০৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২২

জম্মু ও কাশ্মীরের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সম্পূর্ণ উন্নয়ন তখনই সম্ভব হবে, যখন ‘গিলগিট বেলুচিস্তান পর্যন্ত পৌঁছন যাবে’। বৃহস্পতিবার শ্রীনগরের কাছে এক সভায় অংশ নিয়ে সোচ্চার কণ্ঠে ভূস্বর্গের মাটি থেকে এই বার্তা দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। ফের একবার তাঁর কণ্ঠে পাকিস্তানকে টার্গেট করে আক্রমণ শানানোর ইঙ্গিত মেলে।

শ্রীনগরের কাছে বুদগামে ‘শৌর্যদিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ‘আমরা জম্মু ও কাশ্মীরে ও লাদাখে আমাদের উন্নয়নের সফর সবেমাত্র শুরু করেছি। এই সফর সম্পূর্ণ হবে যখন আমরা গিলগিট বেলুচিস্তান এর মতো অংশে পৌঁছব। যেখান সংসদীয় রেজোলিউশনের সঙ্গে… আচার্য শঙ্করাচার্য ও বল্লভভাই প্যাটেলের স্বপ্ন পূরণ হবে। ১৯৪৭ সালের উদ্বাস্তুরা ন্যায় পাবেন, তাঁদের জমি ফেরত পাবেন, আর সেই দিন দূরে নেই যখন এই মত পূর্ণতা পাবে।’

সাফ ভাষায় রাজনাথ সিংয়ের এই বক্তব্য কার্যত পাকিস্তানের প্রতি বড়সড় হুঁশিয়ারি বার্তা বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের এয়ারস্ট্রিপে ভারতীয় সেনার পদার্পণের ৭৫ বছরের পূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় এই বিশেষ অনুষ্ঠান। সেখানেই পাকিস্তানকে নাম না নিয়ে কার্যত নিশানা শানান রাজনাথ সিং।

পাকিস্তানের উপজাতিরা কাশ্মীরের উপত্যকা দখল করতে গেলে ১৯৪৭ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতীয় সেনা বাহিনী কাশ্মীরের এয়ারস্ট্রিপে প্রবেশ করে রাজা হরি সিংয়ের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী। সেই উপলক্ষ্যেই আয়োজিত হয় এই শৌর্য দিবস।

এদিনের ভাষণে নরেন্দ্র মোদী সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন রাজনাথ সিং। তিনি তুলে ধরেন, কীভাবে মোদী সরকার ৩৭০ ধারা তুলে দিয়ে উপত্যকার উন্নয়ন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে ‘জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন সকালের সূর্য’ বলেও আখ্যা দেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক