সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন রিজিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল এশিয়ান স্টেটের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না সেটা দেখা দরকার। পাশাপাশি ওই দেশগুলির সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানো দরকার বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, চীনকে কার্যত হালকা খোঁচা দিয়ে এই মন্তব্য করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রীর।
এসসিও কাউন্সিলের ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন বিদেশমন্ত্রী। চাইনিজ প্রিমিয়ার লি কেকিয়াং এই মিটিংয়ের হোস্ট হিসাবে ছিলেন।
এদিকে একের পর এক টুইট করে জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, এসসিও রিজিয়নে আরও ভালো যোগাযোগের ক্ষেত্রে সদস্যভুক্ত দেশগুলির আঞ্চলিক একাত্মবোধকে রক্ষা করা ও আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করা দরকার।
তবে এস জয়শঙ্কর সরাসরি কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তবে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির একাংশ নিয়ে আগে থেকেই আপত্তি তুলেছিল ভারত। কারণ এই করিডোর কার্যত পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে যাচ্ছে। এদিকে যে দেশগুলি চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে স্বাক্ষর করেনি তার মধ্যে ভারত অন্যতম।
তবে ভারতের বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন, এসসিও রিজিয়নে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দরজাকে খুলে দেবে। এই প্রসঙ্গে তিনি ইরানের চাবাহার পোর্ট ও ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডোরের কথা তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এসসিও সদস্যদের মধ্যে আমাদের মোট বাণিজ্যিক লেনদেন মাত্র ১৪১ বিলিয়ন ডলার। তবে এই অর্থনীতি আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি নরেন্দ্র মোদীর মিশন লাইফ এর কথাও উল্লেখ করেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক