চীনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া ভাবি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ যথাযথ করার জন্য সে দেশের প্রশাসনকে অনুরোধ জানাল ভারত। এর আগে চীন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা চিকিৎসকদের দক্ষতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছিল। অভিযোগ উঠেছিল, সে দেশে যথেষ্ট প্রশিক্ষণ না পেয়ে এবং ডাক্তারি না করেই দেশে এসে স্টেথোস্কোপ ঝুলিয়ে নিচ্ছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। এ বার এ নিয়ে নড়েচড়ে বসল ভারত।
এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের ২০২১ সালের নয়া বিধির কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন কেউ কেউ। গত নভেম্বরের ওই বিধিতে বলা হয়, চীনে পড়তে যাওয়া হবু চিকিৎসকরা যদি সে দেশে ডাক্তারি করার অনুমতি না পান, তবে তিনি ভারতের ‘ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট’ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক হিসেবে সেই পড়ুয়াকে কোনও স্বীকৃতি দেবে না ভারত সরকার।
গত বছরের নভেম্বরেই শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীনের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারি পড়লে এবং শিক্ষানবিশ চিকিৎসক হিসেবে সে দেশের যোগ্যতা নির্ণায়ক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে দেশের ‘ফরেন মেডিক্যাল গ্র্যাজুয়েট’ পরীক্ষায় বসা যাবে।
অন্য দিকে, অন্যান্য দেশের তুলনায় স্বল্প টাকায় ডাক্তারি পড়া যায় বলে বহু পড়ুয়াই চীনে যান। কিন্তু বারবারই অভিযোগ উঠেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের পঠনপাঠনের মানের সঙ্গে আপস করে। চীন ফেরত চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনেকেই ইংরেজিতে তেমন রপ্ত নন। ল্যাবরেটরিতে নিয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণও প্রায় হয় না বলে তাঁদের অভিযোগ।
তবুও প্রতি বছরই এ দেশ থেকে বহু পড়ুয়া চিকিৎসক হওয়ার জন্য সে দেশে যায়। কোভিডের আগে যেমন ২৩ হাজার ভারতীয় পড়ুয়া সে দেশে ডাক্তারি পড়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। মাঝে কোভিডের কারণে চীনের তরফেও কিছু কড়াকড়ি করা হয়। তবে অতিমারির প্রকোপ কমতেই চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ফের ভারতীয় পড়ুয়াদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে। তাই আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েই যথাযথ প্রশিক্ষণের বিষয়টি চীনকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ভারত। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক