২০২৩ সালে রয়েছে কর্ণাটকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নভেম্বর ২০২২ এ নরেন্দ্র মোদীর বেঙ্গালুরু সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা, শহর সেজেছে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে। প্রধানমন্ত্রী আসার আগেই ট্রাফিক বিধ্বস্ত বেঙ্গালুরুতে সারাই করা হয়েছে রাস্তার খানা-খন্দর। এরপর সেখানে ১১ নভেম্বর পা রাখেন নরেন্দ্র মোদী। আর বেঙ্গালুরুতে পা রেখেই তিনি ভূয়সী প্রশংসা করেন ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারের।
বিজেপি শাসিত বেঙ্গালুরুতে ‘হ্যাল’ বিমানবন্দরে পা রাখেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বিধান সৌধে খানিকক্ষণ সময় কাটান তিনি। এরপর কানিতিবীরা সংগোলি রায়ান্না রেল স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করেন তিনি। চেন্নাই থেকে বেঙ্গালুরুগামী এই বিশেষ বন্দেভারত ট্রেন দুই রাজ্যের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করতে চলেছে।
এছাড়াও দিনের সেরার সেরা আকর্ষণ ছিল নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্বোধন পর্ব। বিমানবন্দরের টার্মিনাল ২ এর উদ্বোধন ঘিরে ছিল সকলের নজর। ঝাঁ চকচকে ৫০০০ কোটি টাকা ব্যায়ে তৈরি এই বিমান বন্দর ঠাসা কন্নড় সংস্কতিতে।
আর বেঙ্গালুরুর বুকে এই পরপর জায়গা উদ্বোধন করে নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আগের সরকারগুলো মনে করত, গতি হচ্ছে বিলাসিতা আর উচ্চতা হচ্ছে ঝুঁকি। আমরা সেটাকে বদলেছি। আর মনে করছি, গতিই হচ্ছে ভারতের উচ্চাকাঙ্খার অংশ।’ নরেন্দ্র মোদী বলেন, “এবার থেকে দেশ পুরোদমে এগোবে। বেঙ্গালুরু তুলে ধরে স্টার্ট আপ স্পিরিট। যার দ্বারা ভারত আলাদা লীগের অংশ হয়।”
মোদী আজকের ভাষণে বলেন, “এই রাজ্য ডবল ইঞ্জিন সরকারের সহায়তায় এগিয়ে যাচ্ছে কর্ণাটকে বিজেপির সহায়তায়।” একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী বলেন, কর্ণাটক খুবই আস্থাভাজন একটি এলাকা ভারতের, যেখানে বিনিয়োগে আস্থা রাখেন সাধারণ শিল্পমহল। তিনি জানান অতিমারীর সময় বিশ্বের ৪ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগ বেঙ্গালুরুতে এসেছে। এফডিআইকে দেশের দিকে আকর্ষিত করতে এই এলাকার ভূমিকা অনেক, বলে বর্ণনা করেন নরেন্দ্র মোদী। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক