০৫:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের শক্তি নিরাপত্তা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: মোদী

জ্বালানি সরবরাহের উপর কোনও আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধে ভারতের সায় নেই। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে বক্তৃতায় স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানি চাহিদা মেটানোর অধিকার রয়েছে প্রতিটি দেশেরই। জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ভারসাম্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শক্তি সরবরাহে কোনও বিধিনিষেধ ভারত সমর্থন করবে না।’’

ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার চাপের মোকাবিলা করেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মস্কো থেকে অশোধিত তেল কিনছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উপস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরিব মানুষের সঙ্কট বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও অবস্থাতেই সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো কাম্য নয়।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা প্রয়োজন বলে জানান মোদী। বলেন, ‘‘ভারত বরবরাই বলে এসেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসে যুদ্ধে ইতি টানবে, সেটাই কাম্য।’’

জি-২০ মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রসঙ্গও তুলেছেন মোদী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি এখন নেই জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবি তোলেন তিনি। জানান, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে ভারতের দাবি বিবেচনার সময় এসেছে বলে তিনি মনে করেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ভারতের শক্তি নিরাপত্তা বিশ্বের জন্য গুরুত্বপূর্ণ: মোদী

প্রকাশ: ১১:২০:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর ২০২২

জ্বালানি সরবরাহের উপর কোনও আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধে ভারতের সায় নেই। মঙ্গলবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ শীর্ষ বৈঠকে বক্তৃতায় স্পষ্ট ভাষায় এ কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘জ্বালানি চাহিদা মেটানোর অধিকার রয়েছে প্রতিটি দেশেরই। জ্বালানি নিরাপত্তা এবং ভারসাম্যের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শক্তি সরবরাহে কোনও বিধিনিষেধ ভারত সমর্থন করবে না।’’

ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দুনিয়ার চাপের মোকাবিলা করেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মস্কো থেকে অশোধিত তেল কিনছে ভারত। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনার শিকারও হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের উপস্থিতিতে মোদীর মন্তব্য ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘জলবায়ু পরিবর্তন, করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব জুড়ে সরবরাহ ব্যবস্থা গুরুতর ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গরিব মানুষের সঙ্কট বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও অবস্থাতেই সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটানো কাম্য নয়।’’ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে আন্তর্জাতিক সক্রিয়তা প্রয়োজন বলে জানান মোদী। বলেন, ‘‘ভারত বরবরাই বলে এসেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন আলোচনার টেবিলে বসে যুদ্ধে ইতি টানবে, সেটাই কাম্য।’’

জি-২০ মঞ্চ থেকে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের সংস্কারের প্রসঙ্গও তুলেছেন মোদী। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি এখন নেই জানিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের পুনর্গঠনের দাবি তোলেন তিনি। জানান, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ নিয়ে ভারতের দাবি বিবেচনার সময় এসেছে বলে তিনি মনে করেন। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক