০২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চায়না কিছু দেশ: অমিত শাহ

সন্ত্রাসবাদের থেকেও ভয়ঙ্কর, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর), নয়া দিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরর’ নামে সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান বিরোধী তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, এমনটাই বলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসবাদকে কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সন্ত্রাসবাদীরা হিংসা ছড়ানোর, যুবদের উগ্র পন্থার পাঠ দেওয়ার এবং সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহের নিত্য নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছে। নিজেদের পরিচয় গোপন করে উগ্রপন্থী বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দিতে তারা ‘ডার্কনেট’ ব্যবহার কর বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসবাদই বিশ্ব শান্তির জন্য সবথেকে বড় হুমকি। তবে আমার মতে সন্ত্রাসবাদের থেকেও বেশি বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদে তহবিলের জোগান দেওয়া। কারণ, ওই তহবিলই সন্ত্রাসের উপায় এবং পদ্ধতিকে উৎসাহ দেয়। এছাড়া, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ভারত দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। সীমান্তের ওই পাড় থেকে এই সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার জন্য, আমরা দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং আইনি ও আর্থিক ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছি।”

নাম না করে পাকিস্তানকেও একহাত নেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি কিছু কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা এবং আশ্রয় দেয়। এটা সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়ার সামিল। এই ধরনের দেশগুলি যাতে তাদের উদ্দেশ্য সফল না করতে পারে, সেটা দেখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”

অমিত শাহের মতে, গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের মোকাবিলায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানে ভারত সফল হয়েছে। এর মোকাবিলায় ভারতের কৌশল ছয়টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই স্তম্ভগুলো হল – আইনি এবং তথ্যপ্রযুক্তিগত কাঠামোকে শক্তিশালী করা, একটি বিস্তৃত নজরদারি কাঠামো তৈরি করা, কর্মমুখী গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়া, তদন্ত এবং পুলিশি অভিযান শক্তিশালী করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিধান, আইনি সত্তা এবং নয়া প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

সন্ত্রাসবিরোধী লড়াই চায়না কিছু দেশ: অমিত শাহ

প্রকাশ: ০৮:১৮:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর ২০২২

সন্ত্রাসবাদের থেকেও ভয়ঙ্কর, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান। শুক্রবার (১৮ নভেম্বর), নয়া দিল্লিতে ‘নো মানি ফর টেরর’ নামে সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান বিরোধী তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে ভাষণ দেওয়ার সময়, এমনটাই বলেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি আরও জানান, সন্ত্রাসবাদকে কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম, জাতি বা গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয়।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, সন্ত্রাসবাদীরা হিংসা ছড়ানোর, যুবদের উগ্র পন্থার পাঠ দেওয়ার এবং সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহের নিত্য নতুন পথ খুঁজে নিচ্ছে। নিজেদের পরিচয় গোপন করে উগ্রপন্থী বিষয়বস্তু ছড়িয়ে দিতে তারা ‘ডার্কনেট’ ব্যবহার কর বলেও জানিয়েছেন অমিত শাহ।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিঃসন্দেহে সন্ত্রাসবাদই বিশ্ব শান্তির জন্য সবথেকে বড় হুমকি। তবে আমার মতে সন্ত্রাসবাদের থেকেও বেশি বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদে তহবিলের জোগান দেওয়া। কারণ, ওই তহবিলই সন্ত্রাসের উপায় এবং পদ্ধতিকে উৎসাহ দেয়। এছাড়া, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।”

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, ভারত দীর্ঘ কয়েকদিন ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার। সীমান্তের ওই পাড় থেকে এই সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলার জন্য, আমরা দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং আইনি ও আর্থিক ব্যবস্থার উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটিয়েছি।”

নাম না করে পাকিস্তানকেও একহাত নেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “আমরা দেখেছি কিছু কিছু দেশ সন্ত্রাসবাদীদের সুরক্ষা এবং আশ্রয় দেয়। এটা সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়ার সামিল। এই ধরনের দেশগুলি যাতে তাদের উদ্দেশ্য সফল না করতে পারে, সেটা দেখা আমাদের সকলের দায়িত্ব।”

অমিত শাহের মতে, গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানের মোকাবিলায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। তিনি বলেন, “সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগানে ভারত সফল হয়েছে। এর মোকাবিলায় ভারতের কৌশল ছয়টি স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে আছে। এই স্তম্ভগুলো হল – আইনি এবং তথ্যপ্রযুক্তিগত কাঠামোকে শক্তিশালী করা, একটি বিস্তৃত নজরদারি কাঠামো তৈরি করা, কর্মমুখী গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নেওয়া, তদন্ত এবং পুলিশি অভিযান শক্তিশালী করা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার বিধান, আইনি সত্তা এবং নয়া প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ করা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয় প্রতিষ্ঠা করা।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক