০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জি-২০ সভাপতিত্ব গোটা দেশের অর্জন: মোদী

জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ায় বিশ্বের কাছে নিজের শক্তি তুলে ধরার সুযোগ এসেছে ভারতের সামনে। সেজন্য সকলের সহযোগিতার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পালটা বিরোধী নেতারাও জানান, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি হওয়ার ফলে ভারত যাতে লাভবান হয়, সেই বিষয়টি কেন্দ্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার জি-২০ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেই সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো বিরোধী নেতারা। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও। তাঁর পাশেই বসেছিলেন মমতা।

সেই বৈঠকে মোদী জানান, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টি কোনও একজন ব্যক্তির নয়, পুরো দেশের কৃতিত্ব। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মোদী জানিয়েছেন যে বর্তমানে ভারতকে ঘিরে যে বিশ্বব্যাপী কৌতূহল এবং আকর্ষণ আছে, তাতে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের বিষয়টির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ টি বড় দেশের গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্বভার পাওয়ার ফলে বড় শহর, মহানগরীর গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতের তুলনামূলকভাবে ছোটো শহরের দিকে নজর পড়বে বিশ্বের।

সেইসঙ্গে মোদী জানান, এক বছর ধরে যে সব অনুষ্ঠান চলবে, তার ফলে প্রচুর মানুষ ভারতে আসবেন। দেশের যে সব জায়গায় জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হবে, সেখানে পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে জানিয়েছেন মোদী। যিনি সোমবার বিজেপির বৈঠকেও বলেছিলেন, ভারত যে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে, সেজন্য প্রত্যেকের গর্ববোধ করা উচিত।

এদিকে, সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্টভাবে জানান যে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টি কোনও একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। বরং এটা পুরো দেশের কর্মসূচি। জি-২০ গোষ্ঠীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক নেতাদেরও গুরুত্ব প্রদান করা উচিত।

বিরোধী নেতাদের সূত্রে খবর, কীভাবে আন্তর্জাতিক মহলে বিরোধী নেতারা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তা তুলে ধরেছেন মমতা। অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিজের ভিয়েতনামের সফরের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন তৃণমূলের সুপ্রিমো। তারইমধ্যে কয়েকজন বিরোধী নেতা মোদীকে বার্তা দেন যে রাজনৈতিক স্বার্থে যেন জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টি ব্যবহার না করা হয়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

জি-২০ সভাপতিত্ব গোটা দেশের অর্জন: মোদী

প্রকাশ: ০১:১৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ায় বিশ্বের কাছে নিজের শক্তি তুলে ধরার সুযোগ এসেছে ভারতের সামনে। সেজন্য সকলের সহযোগিতার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পালটা বিরোধী নেতারাও জানান, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতি হওয়ার ফলে ভারত যাতে লাভবান হয়, সেই বিষয়টি কেন্দ্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার জি-২০ নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিরোধী নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মোদী। সেই সর্বদলীয় বৈঠকে হাজির ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজু জনতা দলের সুপ্রিমো নবীন পট্টনায়েক, সিপিআইএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি, কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের মতো বিরোধী নেতারা। ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাও। তাঁর পাশেই বসেছিলেন মমতা।

সেই বৈঠকে মোদী জানান, জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টি কোনও একজন ব্যক্তির নয়, পুরো দেশের কৃতিত্ব। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে মোদী জানিয়েছেন যে বর্তমানে ভারতকে ঘিরে যে বিশ্বব্যাপী কৌতূহল এবং আকর্ষণ আছে, তাতে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের বিষয়টির গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে ২০ টি বড় দেশের গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্বভার পাওয়ার ফলে বড় শহর, মহানগরীর গণ্ডি ছাড়িয়ে ভারতের তুলনামূলকভাবে ছোটো শহরের দিকে নজর পড়বে বিশ্বের।

সেইসঙ্গে মোদী জানান, এক বছর ধরে যে সব অনুষ্ঠান চলবে, তার ফলে প্রচুর মানুষ ভারতে আসবেন। দেশের যে সব জায়গায় জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বৈঠক হবে, সেখানে পর্যটন ও স্থানীয় অর্থনীতি আরও চাঙ্গা হবে বলে জানিয়েছেন মোদী। যিনি সোমবার বিজেপির বৈঠকেও বলেছিলেন, ভারত যে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে, সেজন্য প্রত্যেকের গর্ববোধ করা উচিত।

এদিকে, সূত্রের খবর, তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্টভাবে জানান যে জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টি কোনও একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি নয়। বরং এটা পুরো দেশের কর্মসূচি। জি-২০ গোষ্ঠীর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক নেতাদেরও গুরুত্ব প্রদান করা উচিত।

বিরোধী নেতাদের সূত্রে খবর, কীভাবে আন্তর্জাতিক মহলে বিরোধী নেতারা ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, তা তুলে ধরেছেন মমতা। অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে নিজের ভিয়েতনামের সফরের অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন তৃণমূলের সুপ্রিমো। তারইমধ্যে কয়েকজন বিরোধী নেতা মোদীকে বার্তা দেন যে রাজনৈতিক স্বার্থে যেন জি-২০ গোষ্ঠীর সভাপতিত্ব পাওয়ার বিষয়টি ব্যবহার না করা হয়। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক