ভারত-মধ্য এশিয়া মিটিংয়ে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। আফগানিস্তান সহ গোটা রিজিয়নে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মতামত দিয়েছেন তিনি।
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জানিয়েছেন, আফগানিস্তান একটি বড় ইস্যু। এই রিজিয়নে সন্ত্রাসবাদের উপস্থিতি একটা বড় উদ্বেগের বিষয়। অর্থনৈতিক যোগান সন্ত্রাসবাদকে পুষ্ট করে। সেক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদকে যারা অর্থনৈতিকভাবে মদদ দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করাটাও আমাদের অগ্রাধিকারের মধ্যে পড়ে।
এই মিটিংয়ে ভারতের পাশাপাশি কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল জানিয়েছেন, সেন্ট্রাল এশিয়া আমাদের সম্প্রসারিত প্রতিবেশী। যাদের সঙ্গে আমাদের সভ্যতার যোগসূত্র ছিল। এই রিজিয়নের ব্যাপারটা আমাদের অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ, সমৃদ্ধ মধ্য এশিয়া আমাদের সকলেরই কমন ইন্টারেস্টের ব্যাপার।
মিটিংয়ের পরে একটি যৌথ বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬টি দেশ একটি ব্যাপারে সহমত হয়েছে যে জঙ্গি সংগঠনের প্রসার, জঙ্গি দলে নিয়োগ, অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা গোটা রিজিয়নে একটা উদ্বেগের ব্যাপার। এক্ষেত্রে জঙ্গিদের রুখতে যৌথ উদ্যোগের উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে এদিন। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নতুন প্রযুক্তির সূচনা, অস্ত্র ও মাদক পাচার, আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ, বিকৃত তথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে সাইবার স্পেসের অপব্যবহার, মানব বিহীন এরিয়াল সিস্টেমের ব্যবহার জঙ্গিবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ।
এদিকে মধ্য এশিয়াতে ক্রমেই প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করছে চীন। সেই প্রভাবকে কাউন্টার করতে ওই রিজিয়নে এবার বিশেষ ফোকাস করছে ভারতও। পাশাপাশি আফগানিস্তানে তালিবানের শাসন শুরু হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানের বিষয়টিও অন্যতম উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬টি দেশের পদস্থ আধিকারিকরা সন্ত্রাসবাদের সমস্ত ধরনের নিন্দা করেছেন। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি ও তার জেরে এই রিজিয়নের নিরাপত্তা ও স্থিতাবস্থার ক্ষেত্রে কী প্রভাব পড়ছে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক