মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে মহাত্মা গান্ধীর একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিষয়ে টুইট করে বলেছেন, “রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তি দেখে প্রত্যেক ভারতীয় গর্ববোধ করছে। গান্ধীবাদী চিন্তাধারা এবং আদর্শ আমাদের গ্রহকে আরও সমৃদ্ধশালী এবং আরও স্থিতিশীল উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাক, এটাই কামনা করি।”
রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করার জন্য বর্তমানে নিউইয়র্কে আছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বুধবার, তিনি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে মহাত্মা গান্ধীর আবক্ষ মূর্তিটি উন্মোচন করেন। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুতেরেস এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের সভাপতি সাবা করোসি এবং রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি রুচিরা কাম্বোজ। সেই প্রেক্ষিতেই এদিন টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।
আন্তোনিও গুতেরেস এক টুইটে মহাত্মা গান্ধীকে ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বৈষম্যহীনতা এবং বহুত্ববাদের আপোষহীন প্রবক্তা’ বলেছেন। তিনি বলেন, “মহাত্মা গান্ধী শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, বৈষম্যহীনতা এবং বহুত্ববাদের একজন আপসহীন প্রবক্তা ছিলেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে অবস্থিত নতুন মূর্তিটি, গান্ধী যে মূল্যবোধ তুলে ধরেছিলেন, সেগুলোই আমাদের মনে করিয়ে দেবে এবং সেই মূল্যবোধগুলোর প্রতি আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকতে সাহায্য করবে।”
মহাত্মা গান্ধীর এই আবক্ষ মূর্তিটি ভারতের পক্ষ থেকেই রাষ্ট্রসঙ্ঘকে উপহার দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের উত্তরের দিকের বাগানে এই মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে। মূর্তিটি তৈরি করেছেন ভাস্কর রাম ভাঞ্জি সুতার। এর আগে গুজরাটের কেভাদিয়ায় ১৮২ মিটার উচ্চতার বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মূর্তি, স্ট্যাচু অব ইউনিটিও তৈরি করেছিলেন এই রাম ভাঞ্জি সুতার।
চলতি মাসের শুরুতেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, তাঁর এবারের মার্কিন সফরে ভারতের সভাপতিত্বের আওতায় দুটি উচ্চ-স্তরের মন্ত্রী পর্যায়ের স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করছেন। ১৪ ডিসেম্বর প্রথম বৈঠকটি হয়েছে ‘বহুপাক্ষিকতার’ বিষয়ে। এদিন ‘সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জ এবং তার মোকাবিলার পথ’-এর বিষয়ে আলোচনা হয়। এই দুটি বিষয়ই বর্তমানে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের প্রধান অগ্রাধিকার। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক