১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শান্তিরক্ষীদের জন্য ভারতের ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস’ উদ্যোগ

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সমস্ত অপরাধের রেকর্ড রাখতে ডাটাবেজ বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি ভারত।

জানা গিয়েছে, সদ্য গঠিত ‘গ্রুপ অফ ফ্রেন্ডস টু প্রমোট কাউন্টিবিলিটি ফর ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট পিসকিপারস’ এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে ভারত। এতে সহযোগী হিসেবে ভারতের সঙ্গে আরও দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, মরক্কো এবং নেপাল।

এর আগে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রশ্নে পড়শি পাকিস্তানকে নাম না করে আক্রমণ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ‘গ্লোবাল কাউন্টার টেররিজ়ম অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক আলোচনা সভার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার সেখানেই তিনি পাকিস্তানের নাম না করেই বলেন, “গোটা বিশ্ব জানে, কারা সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেয়।”

কিছু দিন আগেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদকে ভারতের মতো কেউই ব্যবহার করতে পারেনি।”

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমি জানি যে গত আড়াই বছর অতিমারি চলার কারণে অনেকেই অনেক কিছু ভুলে গিয়েছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত ভাবে জানাতে চাই, গোটা বিশ্ব ভোলেনি কোন দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ে।”

এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “অন্য কারও দিকে আঙুল তোলার আগে তাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।”

পাকিস্তানের এক সাংবাদিক জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেন, “কাবুল, নয়াদিল্লি এবং পাকিস্তান থেকে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা কত দিন চলবে?” প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর ওই সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি ভুল মন্ত্রীকে প্রশ্নটা করে ফেলেছেন। আপনার বরং পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে এই প্রশ্নটা করা উচিত। তিনিই বলতে পারবেন, পাকিস্তান কত দিন ধরে সন্ত্রাসবাদের অনুশীলন চালিয়ে যাবে।”

তার পরই ইসলামাবাদের উদ্দেশে মোদী সরকারের এই মন্ত্রীর বার্তা, “পাকিস্তান বাকি বিশ্বকে বোকা ভাবা বন্ধ করে ভাল প্রতিবেশী হয়ে ওঠার চেষ্টা করুক।” তাঁর দাবি, গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রগতির জন্য পরিশ্রম করছে। পাকিস্তানেরও সেই লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

শান্তিরক্ষীদের জন্য ভারতের ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস’ উদ্যোগ

প্রকাশ: ০৬:১৪:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২২

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাঁদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সমস্ত অপরাধের রেকর্ড রাখতে ডাটাবেজ বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার, এই উদ্যোগকে বাস্তবায়িত করতে ‘গ্রুপ অব ফ্রেন্ডস’ নামে একটি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতি ভারত।

জানা গিয়েছে, সদ্য গঠিত ‘গ্রুপ অফ ফ্রেন্ডস টু প্রমোট কাউন্টিবিলিটি ফর ক্রাইমস অ্যাগেইনস্ট পিসকিপারস’ এর সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে ভারত। এতে সহযোগী হিসেবে ভারতের সঙ্গে আরও দায়িত্ব পালন করবে বাংলাদেশ, মিশর, ফ্রান্স, মরক্কো এবং নেপাল।

এর আগে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর প্রশ্নে পড়শি পাকিস্তানকে নাম না করে আক্রমণ করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের ‘গ্লোবাল কাউন্টার টেররিজ়ম অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক আলোচনা সভার শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন জয়শঙ্কর। বৃহস্পতিবার সেখানেই তিনি পাকিস্তানের নাম না করেই বলেন, “গোটা বিশ্ব জানে, কারা সন্ত্রাসবাদকে মদদ দেয়।”

কিছু দিন আগেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্র বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার ভারতের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে বলেছিলেন, “সন্ত্রাসবাদকে ভারতের মতো কেউই ব্যবহার করতে পারেনি।”

এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই জয়শঙ্কর বলেন, “আমি জানি যে গত আড়াই বছর অতিমারি চলার কারণে অনেকেই অনেক কিছু ভুলে গিয়েছি। কিন্তু আমি নিশ্চিত ভাবে জানাতে চাই, গোটা বিশ্ব ভোলেনি কোন দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ে।”

এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, “অন্য কারও দিকে আঙুল তোলার আগে তাদের নিজেদের দিকে তাকানো উচিত।”

পাকিস্তানের এক সাংবাদিক জয়শঙ্করকে প্রশ্ন করেন, “কাবুল, নয়াদিল্লি এবং পাকিস্তান থেকে গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা কত দিন চলবে?” প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর ওই সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে বলেন, “আপনি ভুল মন্ত্রীকে প্রশ্নটা করে ফেলেছেন। আপনার বরং পাকিস্তানের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে এই প্রশ্নটা করা উচিত। তিনিই বলতে পারবেন, পাকিস্তান কত দিন ধরে সন্ত্রাসবাদের অনুশীলন চালিয়ে যাবে।”

তার পরই ইসলামাবাদের উদ্দেশে মোদী সরকারের এই মন্ত্রীর বার্তা, “পাকিস্তান বাকি বিশ্বকে বোকা ভাবা বন্ধ করে ভাল প্রতিবেশী হয়ে ওঠার চেষ্টা করুক।” তাঁর দাবি, গোটা বিশ্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং প্রগতির জন্য পরিশ্রম করছে। পাকিস্তানেরও সেই লক্ষ্যপূরণে সচেষ্ট হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক