পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার’ বলে উল্লেখ করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি আরও বলেছেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পশ্চিমারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর শব্দ প্রয়োগ করতে পারতেন। পাশাপাশি, এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা পাকিস্তানের কোনও সমালোচনা না করার জন্য পশ্চিমী দেশগুলোর সমালোচনাও করেছেন তিনি।
জয়শঙ্কর বলেন, “যখন আমরা সিদ্ধান্ত এবং নীতির কথা বলি, কেন আমরা ইউরোপীয়দের মুখে কয়েক দশক ধরে চলে আসা এই অনুশীলনগুলোর (সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তানের মদদ দেওয়া) তীব্র নিন্দা শুনতে পাই না?”
বর্তমানে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আছেন মোদীর বিদেশমন্ত্রী। সোমবার সেখানকার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের এপিসেন্টার বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এপিসেন্টার ভারতের এত কাছে হওয়ায়, আমাদের অভিজ্ঞতা এবং আমাদের দেওয়া তথ্য বিশ্বের বাকি দেশগুলির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এরপরই অস্ট্রিয়ান এক টিভি চ্যানেলে পাকিস্তানের প্রতি কঠোর শব্দ প্রয়োগ নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। জয়শঙ্কর সাফ জানান, “কূটনীতিক হলেই অসত্য বলতে হবে, তার কোনও মানে নেই। আমি আরও কঠোর শব্দ (পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে) প্রয়োগ করতে পারতাম। আমাদের সঙ্গে যা চলছে, সেই প্রেক্ষিতে এপিসেন্টার শব্দটি অত্যন্ত কূটনৈতিক শব্দ বলেই আমি মনে করি।”
তিনি সংসদ ভবনে হামলা, ২৬/১১-র মুম্বই হামলা এবং নিয়মিত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদী হামলার কথা উল্লেখ করেছেন। অস্ট্রিয়ান চ্যানেল থেকে বলা হয়, পাকিস্তান দেশ হিসেবে সন্ত্রাসবাদ ছড়ায় না। জয়শঙ্কর পাল্টা জানান, নিজেদের দেশের জমির উপর পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তারপরও দিনের আলোয় সেখানে সন্ত্রাসবাদীদের শিবির চলে। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীতে অর্থ জোগান, মানব সম্পদ জোগানের কাজ চলে।
জয়শঙ্কর এরপর পাল্টা প্রশ্ন করেন, “এরপরও বলবেন পাকিস্তান কিছু জানে না?” ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সম্ভাবনার থেকেও পাকিস্তানি মদদ চলে আসা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাকি বিশ্বের বেশি উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন বিদেশ মন্ত্রী। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক