০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিয়েনায় ব্যস্ত সময় জয়শঙ্করের

বহু দশক ধরেই সন্ত্রাসে মদদ দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। এই নিয়ে ভারতের তরফে বারবার অভিযোগ করে এসেছে। তবে পাকিস্তান বদলায়নি। এই আবহে পাকিস্তানের উদ্দেশে ‘আরও কড়া ভাষা’ প্রয়োগ করা যেত বলে মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

এর আগেও বহুবার পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জয়শংকর। তবে জয়শংকরের মতে, ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু’-র থেকেও কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ শানানো যায়। অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ওআরএফ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানকে আক্রমণ শানান জয়শংকর। এদিকে এদিন জয়শংকরের নিশানায় ইউরোপীয় দেশগুলো ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সীমান্ত পার সন্ত্রাসবাদের বিষয়টির নিন্দা জানায়নি ইউরোপীয় দেশগুলি।

এদিন জয়শংকর বলেন, ‘শুধুমাত্র কূটনৈতিক বলেই যে একজন ব্যক্তি মিথ্যাচারী হবেন, এমনটা নয়। ‘কেন্দ্রবিন্দু’র বদলে আমি আরও কঠোর শব্দ প্রয়োগ করতে পারি (পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে)। আমাকে বিশ্বাস করুন, আমাদের সঙ্গে যা হচ্ছে তাতে করে ‘কেন্দ্রবিন্দু’ শব্দটি নিছকই কূটনৈতিক।’

এরপর পাকিস্তানের নাম না করেই জয়শংকর বলেন, ‘একটা দেশ ছিল যারা কয়েকবছর আগে আমাদের সংসদ ভবনে হামলা চালিয়েছিল। সেই দেশই আবার মুম্বই শহরেও হামলা চালিয়েছিল। সেখানে হোটেলে থাকা বিদেশীদের নিশানা করা হয়েছিল। এই দেশ প্রতিনিয়ত সীমান্তপার জঙ্গি পাঠিয়ে যায়।’

এরপর জয়শংকর প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে শহরে দিনের আলোয় জঙ্গি নিয়োগ চলছে, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন হয়… আপনি কী বলতে পারেন যে পাকিস্তানের সরকার এই সবের বিষয়ে কিছুই জানে না। বিশেষ করে যখন জঙ্গিদের সেনা কমব্যাট পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাহলে কীভাবে পাকিস্তান এই বিষয়গুলো নিয়ে অজ্ঞ থাকতে পারে?’

এরপর জয়শংকর অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলি সন্ত্রাসবাদের এই নীতির বিরোধিতা বা সমালোচনা করে না। এর প্রেক্ষিতে সাংবাদিক জয়শংকরকে প্রশ্ন করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্বই চিন্তিত।

তখন জয়শংকর বলেন, ‘আমার মনে হয় বিশ্বের এই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত। তবে বিশ্ব অনেক সময়ই এই সন্ত্রাসবাদের বিষয়টির দিকে নজর দেয় না। বিশ্বের অনেক দেশই ভাবে যে, এটা তো আমার সমস্যা নয়।’ এরপর জয়শংকর বলেন, ‘যেহেতু সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু (পাকিস্তান) ভারতের খুব কাছে অবস্থিত, তাই স্বভাবতই আমাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য কার্যকর হতে পারে।’ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ভিয়েনায় ব্যস্ত সময় জয়শঙ্করের

প্রকাশ: ০৯:২০:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৩

বহু দশক ধরেই সন্ত্রাসে মদদ দিয়ে চলেছে পাকিস্তান। এই নিয়ে ভারতের তরফে বারবার অভিযোগ করে এসেছে। তবে পাকিস্তান বদলায়নি। এই আবহে পাকিস্তানের উদ্দেশে ‘আরও কড়া ভাষা’ প্রয়োগ করা যেত বলে মন্তব্য করলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।

এর আগেও বহুবার পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জয়শংকর। তবে জয়শংকরের মতে, ‘সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু’-র থেকেও কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে আক্রমণ শানানো যায়। অস্ট্রিয়ার জাতীয় সংবাদমাধ্যম ‘ওআরএফ’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানকে আক্রমণ শানান জয়শংকর। এদিকে এদিন জয়শংকরের নিশানায় ইউরোপীয় দেশগুলো ছিল। তিনি অভিযোগ করেন, পাকিস্তানের সীমান্ত পার সন্ত্রাসবাদের বিষয়টির নিন্দা জানায়নি ইউরোপীয় দেশগুলি।

এদিন জয়শংকর বলেন, ‘শুধুমাত্র কূটনৈতিক বলেই যে একজন ব্যক্তি মিথ্যাচারী হবেন, এমনটা নয়। ‘কেন্দ্রবিন্দু’র বদলে আমি আরও কঠোর শব্দ প্রয়োগ করতে পারি (পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ নিয়ে)। আমাকে বিশ্বাস করুন, আমাদের সঙ্গে যা হচ্ছে তাতে করে ‘কেন্দ্রবিন্দু’ শব্দটি নিছকই কূটনৈতিক।’

এরপর পাকিস্তানের নাম না করেই জয়শংকর বলেন, ‘একটা দেশ ছিল যারা কয়েকবছর আগে আমাদের সংসদ ভবনে হামলা চালিয়েছিল। সেই দেশই আবার মুম্বই শহরেও হামলা চালিয়েছিল। সেখানে হোটেলে থাকা বিদেশীদের নিশানা করা হয়েছিল। এই দেশ প্রতিনিয়ত সীমান্তপার জঙ্গি পাঠিয়ে যায়।’

এরপর জয়শংকর প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে শহরে দিনের আলোয় জঙ্গি নিয়োগ চলছে, সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন হয়… আপনি কী বলতে পারেন যে পাকিস্তানের সরকার এই সবের বিষয়ে কিছুই জানে না। বিশেষ করে যখন জঙ্গিদের সেনা কমব্যাট পর্যায়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তাহলে কীভাবে পাকিস্তান এই বিষয়গুলো নিয়ে অজ্ঞ থাকতে পারে?’

এরপর জয়শংকর অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় দেশগুলি সন্ত্রাসবাদের এই নীতির বিরোধিতা বা সমালোচনা করে না। এর প্রেক্ষিতে সাংবাদিক জয়শংকরকে প্রশ্ন করেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্ভাব্য যুদ্ধ নিয়ে গোটা বিশ্বই চিন্তিত।

তখন জয়শংকর বলেন, ‘আমার মনে হয় বিশ্বের এই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে চিন্তিত হওয়া উচিত। তবে বিশ্ব অনেক সময়ই এই সন্ত্রাসবাদের বিষয়টির দিকে নজর দেয় না। বিশ্বের অনেক দেশই ভাবে যে, এটা তো আমার সমস্যা নয়।’ এরপর জয়শংকর বলেন, ‘যেহেতু সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্রবিন্দু (পাকিস্তান) ভারতের খুব কাছে অবস্থিত, তাই স্বভাবতই আমাদের অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য কার্যকর হতে পারে।’ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক