০৯:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্মিলিত কণ্ঠস্বরে জোর মোদীর

বিশ্ব এক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। এই সংকট কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। এদিন ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিডের জন্য অর্থনীতির ওপরে প্রভাব এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি অংশগ্রহণকারী উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁদের কণ্ঠস্বর, ভারতের কণ্ঠস্বর আর তাদের অগ্রাধিকার ভারতের অগ্রাধিকার।

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা পরিষ্কার যে বিশ্ব একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে বিশ্বে গ্লোবাল সাউথের বড় অংশীদারিত্ব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বেশিরভাগ চ্যালেঞ্জ গ্লোবাল সাউথ তৈরি না করলেও এই দেশগুলিকেই বেশি প্রভাবিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত সবসময় গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সঙ্গে অভিজ্ঞতাকে ভাগ করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ভারত যেহেতু এবার জি ২০-র সভাপতিত্ব করছে, সেই কারণে আমাদের লক্ষ্য হল গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরে প্রসারিত করা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্লোবাল সাউথের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মন্ত্রও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বকে পুনরুজ্জীবিত করতে, আমাদের একসঙ্গে স্বীকৃতি, সংস্কার এবং সম্মানের জন্য কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্লোবাল সাউথের অগ্রাধিকারের প্রতি সাড়া দিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে সংস্কারের আহ্বান করেছেন তিনি।

জি-২০-তে ভারতের সভাপতিত্ব শুধুমাত্র অংশীদার দেশগুলির স্বার্থেই নয়, গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ঘাটতির বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন।

এশিয়া-আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় দেশগুলিকে নিয়ে গ্লোবাল সাউথ গড়ে উঠেছে। ১২০টির বেশি দেশকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই অঞ্চলের দেশগুলিকে একত্রিত করতে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে খাদ্য-শক্তি নিরাপত্তা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মত আদান-প্রদান করতে দুদিনের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ১০ টি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর ছটি হবে শুক্রবার। প্রতিটি অধিবেশনে ১০-২০ টি দেশের রাষ্ট্রনেতা কিংবা মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করবেন। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অধিবেশনের থিম ছিল ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ-মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের জন্য। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

সম্মিলিত কণ্ঠস্বরে জোর মোদীর

প্রকাশ: ০৭:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

বিশ্ব এক সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে। এই সংকট কতদিন স্থায়ী হবে, তা নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা কঠিন। এদিন ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ সামিটে ভার্চুয়াল অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কোভিডের জন্য অর্থনীতির ওপরে প্রভাব এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তিনি অংশগ্রহণকারী উন্নয়নশীল দেশের নেতাদের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁদের কণ্ঠস্বর, ভারতের কণ্ঠস্বর আর তাদের অগ্রাধিকার ভারতের অগ্রাধিকার।

বিশ্বের বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশের রাষ্ট্রনেতাদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা পরিষ্কার যে বিশ্ব একটা সংকটের মধ্যে দিয়ে চলেছে। ভবিষ্যতে বিশ্বে গ্লোবাল সাউথের বড় অংশীদারিত্ব হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বেশিরভাগ চ্যালেঞ্জ গ্লোবাল সাউথ তৈরি না করলেও এই দেশগুলিকেই বেশি প্রভাবিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভারত সবসময় গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সঙ্গে অভিজ্ঞতাকে ভাগ করে নিয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, ভারত যেহেতু এবার জি ২০-র সভাপতিত্ব করছে, সেই কারণে আমাদের লক্ষ্য হল গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বরে প্রসারিত করা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গ্লোবাল সাউথের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার মন্ত্রও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বকে পুনরুজ্জীবিত করতে, আমাদের একসঙ্গে স্বীকৃতি, সংস্কার এবং সম্মানের জন্য কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গ্লোবাল সাউথের অগ্রাধিকারের প্রতি সাড়া দিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন ও আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বকে সম্মান করতে হবে। এছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলিতে সংস্কারের আহ্বান করেছেন তিনি।

জি-২০-তে ভারতের সভাপতিত্ব শুধুমাত্র অংশীদার দেশগুলির স্বার্থেই নয়, গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির সঙ্গে পরামর্শ করে গঠন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী এদিন খাদ্য, জ্বালানি এবং সারের ঘাটতির বিষয়ের কথাও উল্লেখ করেছেন।

এশিয়া-আফ্রিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকায় দেশগুলিকে নিয়ে গ্লোবাল সাউথ গড়ে উঠেছে। ১২০টির বেশি দেশকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই অঞ্চলের দেশগুলিকে একত্রিত করতে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে খাদ্য-শক্তি নিরাপত্তা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মত আদান-প্রদান করতে দুদিনের শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে ১০ টি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারটি হচ্ছে বৃহস্পতিবার আর ছটি হবে শুক্রবার। প্রতিটি অধিবেশনে ১০-২০ টি দেশের রাষ্ট্রনেতা কিংবা মন্ত্রীরা অংশগ্রহণ করবেন। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অধিবেশনের থিম ছিল ভয়েস অফ গ্লোবাল সাউথ-মানব কেন্দ্রিক উন্নয়নের জন্য। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক