০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতীয় ঋণে তৈরী টঙ্গী-জয়দেবপুর রেলের ডাবল লাইন চালু

জয়দেবপুর-টঙ্গী রেলপথের ১১ কিলোমিটার ডাবল রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের আওতায় এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ ডাবল লাইন রেলপথ উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর দুপুরে জয়দেবপুর জংশন স্টেশন এলাকার নতুন এই ডাবল লাইন ধরে একটি বিশেষ ট্রেনে জয়দেবপুর-টঙ্গী রেলপথের ১১ কিলোমিটার চড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রথম যাত্রী রেলমন্ত্রী। এ সময় তার সাথে ছিলেন রেলসচিব, রেলের ডিজি ও এডিজি প্রমুখ।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। কিন্তু এই দুই সেকশনের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে একটি ডুয়েলগেজ লাইন চালু রয়েছে।

এ কারণে টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে চাহিদা থাকার পরও বেশিসংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। ২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফ কন কল্পতরু এ ডাবল লাইনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।

জয়দেবপুর জংশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম জানান, সিঙ্গেল লাইন থাকার কারণে এত দিন অনেক সময় অন্য আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের জন্য জয়দেবপুর এবং ধীরাশ্রম স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর কোনো ট্রেনকে অন্য ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে না।

ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইনের প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া বলেন, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইন ট্রেন চালুর ফলে প্রায় সব ট্রেনের যাত্রা সময় গড়ে ১৫-২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হবে।

ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে জয়দেবপুর রেল জংশনের পশ্চিম পাশে খোলা জায়গায় শামিয়ানা টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের চত্বর থেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয়, রেলসচিব হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, জিএমপি কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ভারতীয় ঋণে তৈরী টঙ্গী-জয়দেবপুর রেলের ডাবল লাইন চালু

প্রকাশ: ০১:৩৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

জয়দেবপুর-টঙ্গী রেলপথের ১১ কিলোমিটার ডাবল রেললাইনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন প্রকল্পের আওতায় এই পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এ ডাবল লাইন রেলপথ উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার পর দুপুরে জয়দেবপুর জংশন স্টেশন এলাকার নতুন এই ডাবল লাইন ধরে একটি বিশেষ ট্রেনে জয়দেবপুর-টঙ্গী রেলপথের ১১ কিলোমিটার চড়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন প্রথম যাত্রী রেলমন্ত্রী। এ সময় তার সাথে ছিলেন রেলসচিব, রেলের ডিজি ও এডিজি প্রমুখ।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাওয়া-আসায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন। কিন্তু এই দুই সেকশনের মধ্যে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে দুটি ডুয়েলগেজ লাইন ও একটি ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে একটি ডুয়েলগেজ লাইন চালু রয়েছে।

এ কারণে টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে চাহিদা থাকার পরও বেশিসংখ্যক ট্রেন পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। ২০১২ সালের নভেম্বরে ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এফ কন কল্পতরু এ ডাবল লাইনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে।

জয়দেবপুর জংশনের সিনিয়র স্টেশন মাস্টার রেজাউল ইসলাম জানান, সিঙ্গেল লাইন থাকার কারণে এত দিন অনেক সময় অন্য আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচলের জন্য জয়দেবপুর এবং ধীরাশ্রম স্টেশনে ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর কোনো ট্রেনকে অন্য ট্রেনের চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে না।

ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইনের প্রকল্প পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া বলেন, টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডাবল লাইন ট্রেন চালুর ফলে প্রায় সব ট্রেনের যাত্রা সময় গড়ে ১৫-২০ মিনিট সময় সাশ্রয় হবে।

ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন উপলক্ষে জয়দেবপুর রেল জংশনের পশ্চিম পাশে খোলা জায়গায় শামিয়ানা টাঙিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ সময় জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের চত্বর থেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. বিনয়, রেলসচিব হুমায়ুন কবীর, রেলওয়ের মহাপরিচালক কামরুল আহসান, জিএমপি কমিশনার মোল্ল্যা নজরুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক