১১:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

“ইন্দো-প্যাসিফিকের স্বার্থে এককাট্টা ভারত-জার্মানী”

ভারতে দু’দিনের সফরে এসেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক প্রথম সারির মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ইউরোপে ভারতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি।

তিনি তখন ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে জার্মানের আগ্রহের কথাও জানান। এরপর বড় বড় জার্মান সংস্থার সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভারতে শিক্ষা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের বিভিন্ন সুযোগ নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে।

ডয়চে পোস্ট ডিএইচএল গ্রুপের সিইও ডঃ টোবিয়াস মেয়ার বলেছেন, “আমরা ভারতে অনেক সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ডিএইচএল ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে কাজ করছে। আমাদের সংস্থার জন্য একটি লাভজনক বাজার ভারত এবং আমরা এখানে গতি দেখতে পাচ্ছি।”

এদিকে হ্যাপাগ-লয়েডের সিইও রল্ফ হ্যাবেন জ্যানসেন বলেছেন, “আমরা জানি যে আগামী কয়েক বছরে ভারত প্রবৃদ্ধি হতে চলেছে এবং এখানে বিনিয়োগ করার এটাই সঠিক সময়। বিশ্বের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র মতো একটি প্রোগ্রাম দরকার।”

একই সময়ে সিমেন্স এজি-র প্রেসিডেন্ট এবং সিইও রোল্যান্ড বুশ বলেছেন, “মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের অধীনে বিনিয়োগ সহ গ্রিন এনার্জি, পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে যুব প্রজন্ম ভাল সংখ্যায় রয়েছে। ডিজিটাল সংযোগ থাকার পাশাপাশি একটা গতিও রয়েছে।”

এদিকে এসএফসি এনার্জির সিইও ডঃ পিটার পোডেসার বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সৌর শক্তি এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের প্রযুক্তি তৈরি করছে। ভারত নিজেকে উত্পাদন, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রকৌশলের জন্য একটি ভাল ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরতে পারে।” গতকাল রেঙ্কের সিইও সুজান ওয়েইগান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদার। আমরা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং নৌবাহিনীকে ড্রাইভ সমাধান সরবরাহ করছি।”

এদিকে মোদী গতকাল টুইট করে জানিয়েছিলেন, “চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য শীর্ষ সিইওদের সঙ্গে দেখা করেছি। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ফিনটেক, আইটি এবং টেলিকমের মতো ক্ষেত্রগুলি বৈঠকে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

“ইন্দো-প্যাসিফিকের স্বার্থে এককাট্টা ভারত-জার্মানী”

প্রকাশ: ০৮:৫২:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

ভারতে দু’দিনের সফরে এসেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ একাধিক প্রথম সারির মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেন তিনি। সেই বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ইউরোপে ভারতের সর্ববৃহৎ বাণিজ্য অংশীদার হল জার্মানি।

তিনি তখন ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া ও আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে জার্মানের আগ্রহের কথাও জানান। এরপর বড় বড় জার্মান সংস্থার সিইও-র সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উভয় দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে এবং ভারতে শিক্ষা ও ব্যবসা সম্প্রসারণের বিভিন্ন সুযোগ নিয়ে তাঁরা আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে।

ডয়চে পোস্ট ডিএইচএল গ্রুপের সিইও ডঃ টোবিয়াস মেয়ার বলেছেন, “আমরা ভারতে অনেক সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। ডিএইচএল ৪৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতে কাজ করছে। আমাদের সংস্থার জন্য একটি লাভজনক বাজার ভারত এবং আমরা এখানে গতি দেখতে পাচ্ছি।”

এদিকে হ্যাপাগ-লয়েডের সিইও রল্ফ হ্যাবেন জ্যানসেন বলেছেন, “আমরা জানি যে আগামী কয়েক বছরে ভারত প্রবৃদ্ধি হতে চলেছে এবং এখানে বিনিয়োগ করার এটাই সঠিক সময়। বিশ্বের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র মতো একটি প্রোগ্রাম দরকার।”

একই সময়ে সিমেন্স এজি-র প্রেসিডেন্ট এবং সিইও রোল্যান্ড বুশ বলেছেন, “মেক ইন ইন্ডিয়া উদ্যোগের অধীনে বিনিয়োগ সহ গ্রিন এনার্জি, পরিকাঠামো এবং স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারতের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। ভারতে যুব প্রজন্ম ভাল সংখ্যায় রয়েছে। ডিজিটাল সংযোগ থাকার পাশাপাশি একটা গতিও রয়েছে।”

এদিকে এসএফসি এনার্জির সিইও ডঃ পিটার পোডেসার বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সৌর শক্তি এবং গ্রিন হাইড্রোজেনের প্রযুক্তি তৈরি করছে। ভারত নিজেকে উত্পাদন, গবেষণা ও উন্নয়ন এবং প্রকৌশলের জন্য একটি ভাল ভিত্তি হিসেবে তুলে ধরতে পারে।” গতকাল রেঙ্কের সিইও সুজান ওয়েইগান্ড প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেছেন, “ভারত আমাদের বিশ্বস্ত অংশীদার। আমরা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী এবং নৌবাহিনীকে ড্রাইভ সমাধান সরবরাহ করছি।”

এদিকে মোদী গতকাল টুইট করে জানিয়েছিলেন, “চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ এবং আমি আমাদের দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার বিভিন্ন উপায় নিয়ে আলোচনা করার জন্য শীর্ষ সিইওদের সঙ্গে দেখা করেছি। ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ফিনটেক, আইটি এবং টেলিকমের মতো ক্ষেত্রগুলি বৈঠকে বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছে।” খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক