বিমসটেক দেশগুলো এই অঞ্চলের সম্ভাবনা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাজকুমার রঞ্জন সিং। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ), ১৯তম বিমসটেক মন্ত্রী পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এদিন, বিমসটেকের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
বিমসটেক প্রক্রিয়ার প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে ড. মোমেন বলেন, বিমসটেক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আইনি উপকরণ চূড়ান্ত করতে বাংলাদেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে। তিনি সদস্য দেশগুলোর প্রতি বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির আহ্বান জানান যাতে বিমসটেক এফটিএ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাস্তবায়ন করা যায়।
বৈঠকটি এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিতব্য প্রস্তাবিত ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে গ্রহণের জন্য বিমসটেক সচিবালয়ের বেশ কিছু প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয় সহ সমস্ত বিমসটেক প্রক্রিয়ার জন্য ‘প্রক্রিয়ার নিয়ম’ অনুমোদন করেছে। বৈঠকে ‘এগ্রিমেন্ট অন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট কোঅপারেশন’-এর পাশাপাশি ‘বিমসটেক ব্যাংকক ভিশন ২০৩০’-এর খসড়া পাঠ্য অনুমোদন করা হয়েছে।
বৈঠকের উপসংহারে, প্রতিনিধিদলের প্রধানরা অর্থনৈতিক, সামাজিক, প্রযুক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে সক্রিয় সহযোগিতার প্রচারের জন্য সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে বিশদভাবে একটি ‘যৌথ বিবৃতি’ জারি করেন।
বৈঠকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ২০৩৩ সালের নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের অস্থায়ী সময়সূচি নিয়ে আলোচনা হয়, যেখানে বাংলাদেশ বিমসটেকের সভাপতিত্ব গ্রহণ করার কথা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা এবং থাইল্যান্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট বিমসটেক। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক