সামগ্রিক নীতির সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে আফ্রিকায় নিজেদের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ভারতীয় সেনাবাহিনী চলতি মাসেই পুনেতে ভারত-আফ্রিকা ফিল্ড প্রশিক্ষণ অনুশীলন এবং সেনাবাহিনী প্রধানদের সম্মেলনের ব্যবস্থা করেছে। আগামীকাল ২৮ মার্চ এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে গত শুক্রবার, ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা জানান, ১০ দিনের একটি মহড়ায় আফ্রিকার ৯টি দেশ, যথাঃ ইথিওপিয়া, ঘানা, কেনিয়া, লেসোথো, নাইজার, সেশেলস, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া অংশগ্রহণ করবে। মহড়াটি আগামী ২১ মার্চ শুরু হতে চলেছে। ২০১৯ সালের পরে দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিতব্য মহড়ার জন্য পর্যবেক্ষক দল পাঠাচ্ছে কঙ্গো, মিশর, নাইজেরিয়া, রুয়ান্ডা, জিম্বাবুয়ে, ক্যামেরন এবং মরক্কো।
এ মহড়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আগামী ২৮ মার্চ নাগাদ পুনেতে প্রথম আফ্রিকান প্রধানদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করবেন। অনুষ্ঠানের জন্য ইতিমধ্যে ১০ জন আফ্রিকান প্রধান তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছেন এবং ১২ জন প্রধান তাদের প্রতিনিধিদের পাঠাবেন বলে জানান।
যদিও ভারতের কাছে চীনের মতো অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তি নেই, তবে আফ্রিকার অনেক দেশের সাথেই ভারতের দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক রয়েছে। এর আগে ২০২০ সালে, ভারত-আফ্রিকা প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের একটি বৈঠক আয়োজিত হয়েছিল ভারতের লক্ষ্ণৌতে।
আসন্ন মহড়া এবং সম্মেলন ভারত-আফ্রিকা সম্পর্ককে আরো মজবুত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সেই সাথে আফ্রিকান সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিও এর অন্যতম লক্ষ্য।
মহড়ায় বিভিন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য এবং আইইডি অপসারণের পাশাপাশি শান্তিরক্ষার কাজে বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডের বিষয়েও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেই সাথে অনুশীলনের সময় ভারতের উন্নত প্রযুক্তির সরঞ্জামগুলোও প্রদর্শন করা হবে।
আফ্রিকান প্রধানদের সম্মেলনটি ভারত-আফ্রিকা প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্ব এবং আফ্রিকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রসারের উপর আলোকপাত করবে।
আসিয়ান এবং উপসাগরীয় দেশগুলো ছাড়াও, কিছু আফ্রিকান দেশে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রপ্তানি করতে চাইছে ভারত। এগুলোর স্ট্রাইক রেঞ্জ ২৯০ কিমি এর মতো। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক