১২:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অরুণাচল অবিচ্ছেদ্যভাবে ভারতেরই: হোয়াইট হাউস

অরুণাচল প্রদেশের ১১ টি জায়গার নাম পালটে দিয়েছিল চিন। সেই প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভারতের তরফে বলা হয়েছিল, “নিজের মনের মতো নামকরণ করলে সত্যিটা পালটায় না।” এবার দিল্লির বার্তাকে সমর্থন করল আমেরিকা। অরুণাচল যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই বার্তাও দেওয়া হল আমেরিকার তরফে।

এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারিন জঁ পিয়ের বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই ভূখণ্ডকে (অরুণাচল প্রদেশ) দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবং আমরা সেই এলাকার তথাকথিত নাম পরিবর্তন করে আঞ্চলিক দাবি এবং স্থিতাবস্থা বদলের একতরফা প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করি।”

এদিকে এর আগে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নিজের ইচ্ছামতো চিন অরুণাচলের জায়গার নাম পালটে দিলেও সেই সত্যিটা কোনওদিন পালটে যাবে না।

প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ আদতে ‘দক্ষিণ তিব্বত’। এই আবহে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে চিনের। গত বছর ডিসেম্বরে অরুণাচলে অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা করে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা।

এই আবহে গত সোমবর চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রবিবার ‘দক্ষিণ তিব্বতের’ দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদীর নামকরণ করেছে চিন। সেই জায়গাগুলিকে চিনের প্রশাসনিক জেলারও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এর জবাবে মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা খবরে এই বিষয়টি দেখেছি। চিন এর আগেও এমনটা করেছে। তাদের এই নামকরণ প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। তারা নিজেদের মতো নাম দিয়ে দিলেই সত্যিটা পালটে যায় না।”

এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর গালওয়ান কাণ্ডের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অরুণাচলের তাওয়াং অঞ্চলে। প্রাণহানি না ঘটলেও সেই সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে।

জানা যায়, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা প্রতিরোধ করে। হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান আহত হন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, প্রায় ৩০০ চিনা সেনা তাওয়াংয়ের ওই সেক্টরে অনুপ্রবেশ করেছিল। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

 

ট্যাগ:

অরুণাচল অবিচ্ছেদ্যভাবে ভারতেরই: হোয়াইট হাউস

প্রকাশ: ০৯:৪০:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

অরুণাচল প্রদেশের ১১ টি জায়গার নাম পালটে দিয়েছিল চিন। সেই প্রেক্ষিতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে ভারতের তরফে বলা হয়েছিল, “নিজের মনের মতো নামকরণ করলে সত্যিটা পালটায় না।” এবার দিল্লির বার্তাকে সমর্থন করল আমেরিকা। অরুণাচল যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই বার্তাও দেওয়া হল আমেরিকার তরফে।

এই বিষয়ে হোয়াইট হাউজের প্রেস সচিব ক্যারিন জঁ পিয়ের বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেই ভূখণ্ডকে (অরুণাচল প্রদেশ) দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এবং আমরা সেই এলাকার তথাকথিত নাম পরিবর্তন করে আঞ্চলিক দাবি এবং স্থিতাবস্থা বদলের একতরফা প্রচেষ্টার তীব্র বিরোধিতা করি।”

এদিকে এর আগে মঙ্গলবার নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। নিজের ইচ্ছামতো চিন অরুণাচলের জায়গার নাম পালটে দিলেও সেই সত্যিটা কোনওদিন পালটে যাবে না।

প্রসঙ্গত, বেজিংয়ের দাবি, অরুণাচল প্রদেশ আদতে ‘দক্ষিণ তিব্বত’। এই আবহে দীর্ঘদিন ধরেই ভারতের সঙ্গে মতবিরোধ রয়েছে চিনের। গত বছর ডিসেম্বরে অরুণাচলে অনুপ্রবেশেরও চেষ্টা করে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির জওয়ানরা।

এই আবহে গত সোমবর চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রবিবার ‘দক্ষিণ তিব্বতের’ দুটি সমতল এলাকা, দুটি আবাসিক এলাকা, পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ এবং দুটি নদীর নামকরণ করেছে চিন। সেই জায়গাগুলিকে চিনের প্রশাসনিক জেলারও তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

এর জবাবে মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “আমরা খবরে এই বিষয়টি দেখেছি। চিন এর আগেও এমনটা করেছে। তাদের এই নামকরণ প্রত্যাখ্যান করছি আমরা। তারা নিজেদের মতো নাম দিয়ে দিলেই সত্যিটা পালটে যায় না।”

এর আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর গালওয়ান কাণ্ডের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল অরুণাচলের তাওয়াং অঞ্চলে। প্রাণহানি না ঘটলেও সেই সংঘর্ষে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন সেনা আহত হয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছিল রিপোর্টে।

জানা যায়, চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ভারতের এলাকায় ঢোকার চেষ্টা করলে ভারতীয় সেনা প্রতিরোধ করে। হাতাহাতি এবং লাঠি-পাথর নিয়ে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার ৬ জন জওয়ান আহত হন। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, প্রায় ৩০০ চিনা সেনা তাওয়াংয়ের ওই সেক্টরে অনুপ্রবেশ করেছিল। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক