ঢাকা ০১:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

বাড়ছে ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার

  • প্রতিনিধি
  • ইত্তেহাদ ডেস্ক ।। প্রকাশ: ০৯:১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • 20

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ ভারতের। বাড়ছে দেশের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার। এবার সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে অগ্নি সিরিজের নয়া মিসাইল ‘অগ্নি প্রাইম’-এর সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারত। ‘প্রি-ইনডাকশান ট্রায়াল’ বা ফৌজের হাতে তুলে দেওযার আগে এই চূড়ান্ত পরীক্ষার দিকে নজর ছিল গোটা দেশের।

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে এ পি জে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে ‘অগ্নি প্রাইম’ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে এহেন সফলতায় ডিআরডিও ও সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই মিসাইলটি অগ্নি সিরিজের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র। ১ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম ‘অগ্নি প্রাইম’।

বলে রাখা ভাল, নতুন প্রজন্মের হওয়ার দরুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত হালকা মিশ্র ধাতুতে তৈরি। ফলে অগ্নি-৩-এর থেকে এর ওজন ৫০ শতাংশ কম। ওজনে হালকা হওয়ার ফলে রেল বা সড়ক পথে বিশেষ সামরিক যান থেকে মিসাইলটি ছোঁড়া যাবে। বিশেষ করে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের বিরুদ্ধে হামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই অস্ত্রটি। সব মিলিয়ে প্রতিরক্ষা গবেষণায় ভারতের জন্য নতুন মাইল ফলক হিসেবেই দেখা হচ্ছে অগ্নি প্রাইমকে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি-৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ডিআরডিও। ৫০০০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুকে ঘায়েল করতে সক্ষম এই মিসাইল৷ ফলে এই পাল্লার মধ্যে অতি সহজেই চলে আসছে চিন ও পাকিস্তানের অনেকটা অংশ৷ ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের

অন্তর্গত অগ্নি-৫ শেষ পরীক্ষা করা হয় ওই বছরের জানুয়ারি মাসে৷ তবে মিসাইলটি তৈরির সময়ও বহুবার পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তখনও প্রতিটি পরীক্ষা সফল হয়েছিল৷ অগ্নি-৫-এর নেভিগেশন সিস্টেম অনেক বেশি অত্যাধুনিক৷ এতে ব্যবহার করা হয়েছে দু’ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম৷ প্রথমটি, Ring Inertial Navigation System বা RINS এবং দ্বিতীয়টি, Micro Navigation System বা MINS৷ সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫ কিলোগ্রাম ওজনের পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এই মিসাইলের রক্ষণাবেক্ষণ খরচও অনেক কম৷ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

বাড়ছে ভারতের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার

ইত্তেহাদ ডেস্ক ।। প্রকাশ: ০৯:১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড়সড় পদক্ষেপ ভারতের। বাড়ছে দেশের পরমাণু অস্ত্রভাণ্ডার। এবার সামরিক শক্তি আরও বাড়িয়ে অগ্নি সিরিজের নয়া মিসাইল ‘অগ্নি প্রাইম’-এর সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করল ভারত। ‘প্রি-ইনডাকশান ট্রায়াল’ বা ফৌজের হাতে তুলে দেওযার আগে এই চূড়ান্ত পরীক্ষার দিকে নজর ছিল গোটা দেশের।

বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষামন্ত্রক জানিয়েছে, ওড়িশা উপকূলে এ পি জে আবদুল কালাম আইল্যান্ড থেকে ‘অগ্নি প্রাইম’ মিসাইলের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা (ডিআরডিও)। প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জের মুখে এহেন সফলতায় ডিআরডিও ও সেনাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম এই মিসাইলটি অগ্নি সিরিজের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র। ১ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম ‘অগ্নি প্রাইম’।

বলে রাখা ভাল, নতুন প্রজন্মের হওয়ার দরুন এই ক্ষেপণাস্ত্রটি অত্যন্ত হালকা মিশ্র ধাতুতে তৈরি। ফলে অগ্নি-৩-এর থেকে এর ওজন ৫০ শতাংশ কম। ওজনে হালকা হওয়ার ফলে রেল বা সড়ক পথে বিশেষ সামরিক যান থেকে মিসাইলটি ছোঁড়া যাবে। বিশেষ করে যুদ্ধের পরিস্থিতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা নৌবহরের বিরুদ্ধে হামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই অস্ত্রটি। সব মিলিয়ে প্রতিরক্ষা গবেষণায় ভারতের জন্য নতুন মাইল ফলক হিসেবেই দেখা হচ্ছে অগ্নি প্রাইমকে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম অগ্নি-৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ডিআরডিও। ৫০০০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুকে ঘায়েল করতে সক্ষম এই মিসাইল৷ ফলে এই পাল্লার মধ্যে অতি সহজেই চলে আসছে চিন ও পাকিস্তানের অনেকটা অংশ৷ ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামের

অন্তর্গত অগ্নি-৫ শেষ পরীক্ষা করা হয় ওই বছরের জানুয়ারি মাসে৷ তবে মিসাইলটি তৈরির সময়ও বহুবার পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তখনও প্রতিটি পরীক্ষা সফল হয়েছিল৷ অগ্নি-৫-এর নেভিগেশন সিস্টেম অনেক বেশি অত্যাধুনিক৷ এতে ব্যবহার করা হয়েছে দু’ধরনের নেভিগেশন সিস্টেম৷ প্রথমটি, Ring Inertial Navigation System বা RINS এবং দ্বিতীয়টি, Micro Navigation System বা MINS৷ সর্বোচ্চ ১ হাজার ৫ কিলোগ্রাম ওজনের পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম এই মিসাইলের রক্ষণাবেক্ষণ খরচও অনেক কম৷ খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক