চলতি বছরের অগস্টের শেষে গগনযান সিরিজের প্রথম অ্যাবর্ট মিশন সংঘটিত হবে। এর মাধ্যমে আগামী দিনে মানুষ পাঠানোর আগে কোনও অঘটনের সময়ে বেরিয়ে আসার পদ্ধতির ট্রায়াল দিয়ে দেখে নেওয়া হবে। তারপর আগামী বছর প্রথম মনুষ্যহীন সম্পূর্ণ মিশন করা হবে। সেটি ফাইনাল ট্রায়াল। এগুলি সফল হলে তবেই মানুষ পাঠাবে ভারত। এমনটাই জানালেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো-র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ।
ফিজিক্যাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে (পিআরএল) এক ইভেন্টের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনা চলাকালীন এই আপডেট দেন তিনি। ইসরো কর্তা জানান, শ্রীহরিকোটায় যান পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। ক্রু মডিউল এবং ক্রু এস্কেপ সিস্টেমের অ্যাসম্বলির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।
“গগনযানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ঠিকভাবে অ্যাবর্ট মিশনের ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। এর জন্য আমরা একটি পরীক্ষামূলক যান তৈরি করেছি। শ্রীহরিকোটায় এটি প্রস্তুত করা রয়েছে। ক্রু মডিউল এবং ক্রু এস্কেপ সিস্টেমের অ্যাসেম্বলি চলছে,” গগনযানের সর্বশেষ আপডেটের সম্পর্কে এমনটাই বলেন এস সোমনাথ।
“সুতরাং চলতি মাসের শেষের দিকে এটি কার্যকরভাবে পরীক্ষার জন্য তৈরি হয়ে যাবে। তাই আমাদের বিশ্বাস, অগস্টের শেষের দিকে বা তার পরেই আমরা এই ক্রু অ্যাবর্ট মিশন করতে সক্ষম হব,” জানান তিনি।
তিনি যোগ করেন, প্রকল্পের অংশ হিসাবে “কক্ষপথে মনুষ্যবিহীন মিশন”-এরও আয়োজন করা হবে। আগামী বছরের শুরুতেই সেই অভিযান হওয়ার পরিকল্পনা।
“আগামী বছরের শুরুতেই, আমাদের মনুষ্যবিহীন মিশন থাকবে। সেখান থেকে, এটিকে আবার নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেটি হবে তৃতীয় মিশন। বর্তমানে, আমরা এই তিনটি মিশনেরই পরিকল্পনা করে রেখেছি,” বলেন এস সোমানাথ। এই সম্পর্কে ইসরো প্রধান বলেন, গগনযান প্রকল্পের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা।
“যেহেতু এই মিশনে মানুষ থাকবেন, তাই ক্রুদের নিরাপত্তাই সর্বাগ্রে আসে। এই কারণে আমরা আরও দু”টি অতিরিক্ত জিনিসও করেছি। একটি হল ক্রু এস্কেপ সিস্টেম। অর্থাত্, রকেট যদিও একটুও এদিক ওদিক হয়, সেক্ষেত্রে এই সিস্টেম সক্রিয় হয়ে যাবে। দ্বিতীয়টি হল কম্বাইন্ড ভেহিকেল হেলথ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম,” বলেন তিনি। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক