ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ঐক্যের ডাক

  • প্রতিনিধি
  • ইত্তেহাদ ডেস্ক ।। প্রকাশ: ০৫:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
  • 20

আঞ্চলিক নিরাপত্তা, জলসীমায় আগ্রাসন বন্ধ এবং টেকসই উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান এলো আসিয়ান সম্মেলনে। জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ সম্মেলনে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ান জোটের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত ও রাশিয়া। মিয়ানমার সংকট সমাধানেও ঐক্যের ডাক এসেছে সম্মেলন থেকে।

ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় দু’দিন ধরে চলছে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জোট-আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। ৪২তম এই অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি অংশ নেয় চীন-রাশিয়া এবং ভারত। সম্মেলনে নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অঞ্চলটিতে নিজস্ব কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এ সময় আঞ্চলিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে আঙ্গুল তোলেন তিনি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, অনেক দেশই এটা পছন্দ করবে না। নিজের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সাইবার হামলা রোধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আসিয়ান সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান জরুরি বলে জানান ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর। অঞ্চলে বিভিন্ন সংকট আছে যেগুলোর সমাধানে আসিয়ান সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা উচিত। এরমধ্যে অন্যতম হলো- অর্থনীতি, সাইবার সিকিউরিটি এবং সমুদ্রসীমা। আমাদের উচিত এসব সংকট সমাধানে একসাথে কাজ করা। মিয়ানমারে চলমান সংঘাত মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যেরও ডাক দেয়া হয় আসিয়ান সম্মেলনে।

এ প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন, এ সম্মেলনে পাঁচ-দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারে শান্তি ফেরানোর জন্য এটাই একমাত্র কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। একটি বিষয়ে ঐক্যের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন সদস্য দেশগুলো। মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ না হলে সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। সংঘর্ষ চলতে থাকলে ত্রাণ সহায়তার উপযোগী পরিবেশও কখনই তৈরি হবে না।

এদিকে, আসন্ন ডিসেম্বরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে জাপান। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:
জনপ্রিয়

আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ঐক্যের ডাক

ইত্তেহাদ ডেস্ক ।। প্রকাশ: ০৫:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

আঞ্চলিক নিরাপত্তা, জলসীমায় আগ্রাসন বন্ধ এবং টেকসই উন্নয়নে সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান এলো আসিয়ান সম্মেলনে। জাকার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ সম্মেলনে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আসিয়ান জোটের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক জোরালো করার ঘোষণা দিয়েছে ভারত ও রাশিয়া। মিয়ানমার সংকট সমাধানেও ঐক্যের ডাক এসেছে সম্মেলন থেকে।

ইন্দোনেশিয়ার জার্কাতায় দু’দিন ধরে চলছে এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর জোট-আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন। ৪২তম এই অধিবেশনে সদস্য দেশগুলোর পাশাপাশি অংশ নেয় চীন-রাশিয়া এবং ভারত। সম্মেলনে নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নের স্বার্থে অঞ্চলটিতে নিজস্ব কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার তাগিদ দেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। এ সময় আঞ্চলিক সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর দিকে আঙ্গুল তোলেন তিনি।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নই আমাদের সম্পর্কের ভিত্তি হওয়া উচিত। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, অনেক দেশই এটা পছন্দ করবে না। নিজের বক্তব্যে আন্তর্জাতিক জলসীমায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সাইবার হামলা রোধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আসিয়ান সদস্যদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান জরুরি বলে জানান ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর। অঞ্চলে বিভিন্ন সংকট আছে যেগুলোর সমাধানে আসিয়ান সদস্যদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা উচিত। এরমধ্যে অন্যতম হলো- অর্থনীতি, সাইবার সিকিউরিটি এবং সমুদ্রসীমা। আমাদের উচিত এসব সংকট সমাধানে একসাথে কাজ করা। মিয়ানমারে চলমান সংঘাত মোকাবিলায় আঞ্চলিক ঐক্যেরও ডাক দেয়া হয় আসিয়ান সম্মেলনে।

এ প্রসঙ্গে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি বলেন, এ সম্মেলনে পাঁচ-দফা প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মিয়ানমারে শান্তি ফেরানোর জন্য এটাই একমাত্র কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। একটি বিষয়ে ঐক্যের ব্যাপারে জোর দিয়েছেন সদস্য দেশগুলো। মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধ না হলে সংলাপ প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব নয়। সংঘর্ষ চলতে থাকলে ত্রাণ সহায়তার উপযোগী পরিবেশও কখনই তৈরি হবে না।

এদিকে, আসন্ন ডিসেম্বরে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোকে নিয়ে সম্মেলন আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে জাপান। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক