০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইসরোর পালকে আবারও নয়া সাফল্য

চাঁদের পর এবার মহাকাশে মানুষ পাঠাতে তৈরি ইসরো। চাঁদের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। তা নিয়ে তো ইসরোর বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত রয়েইছেন। নজর রাখা হচ্ছে প্রতিটি আপডেটে। এরই মধ্যে মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাতে জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। এল বড়সড় আপডেট।

১৯ জুলাই নভোশ্চর বহনকারী “গগনযান”-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরির ইসরোর প্রোপাসান কমপ্লেক্সে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয় “গগনযান”। সফলভাবে সার্ভিস মডিউল প্রপালশন সিস্টেম পরীক্ষা করেছে ইসরো। আরোহীদের নিয়ে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার পৌঁছবে এই “গগনযান”। মিশনটি হবে তিনদিনের। তারপর আবার তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। সমুদ্রে অবতরণ করবে “গগনযান”।

নভোশ্চর বহনকারী “গগনযান”-এ থাকবে ৪৪০ নিউটনের একটি থ্রাস্ট সমন্বিত পাঁচটি তরল অ্যাপোজি মোটর (এলএএম) ইঞ্জিন, ১০০ নিউটন থ্রাস্ট সমন্বিত ১৬টি রিঅ্য়াকশন কন্ট্রোল সিস্টেম থ্রাস্টার্স (আরসিএস)। “গগনযান” মিশনের লক্ষ্য হল লো আর্থ অরবিটে নভোশ্চরদের পাঠানো। ভারতের তৈরি মহাকাশযান করেই এই লো আর্থ অরবিটে যাবেন মহাকাশচারীরা। ভারতের দ্বারাও যে এই মিশন সম্ভব সেটাই এবার দুনিয়াকে দেখানোর পালা।

“গগনযান” মিশন সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর যুক্ত হবে ভারতের নাম। রাশিয়া ও ফ্রান্সের স্পেস এজেন্সির সঙ্গেও ইসরো চুক্তি করেছে। এই দুই দেশের থেকে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ কিনছে ভারত। ৫০০-এর বেশি ইন্ডাস্ট্রি “গগনযান” মিশন লঞ্চের সঙ্গে যুক্ত থাকছে।

প্রসঙ্গত, শুধু “গগনযান”-ই নয় সূর্যকে অধ্যয়নের জন্য ইসরো আদিত্য এল-১ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বছর অগাস্টে নির্ধারিত হয়েছে এই মিশন। উল্লেখ্য ২০১৫ সালে চালু হওয়া অ্য়াস্ট্রোনাটের পর আদিত্য় এল-১ হবে ইসরোর দ্বিতীয় মহাকাশ-ভিত্তিক জ্যোতির্বিদ্যা মিশন। মহাকাশযানটিকে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য থেকে পৃথিবীর সিস্টেমের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট-১ (এল১)-এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এল১ এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে থাকার ফলে কোনও গ্রহণ ছাড়া সূর্যের নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে।

আদিত্য-এল ১ উৎক্ষেপণ করা হবে একটি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (পিএসএলভি) রকেট ব্যবহার করে। চন্দ্রযান মিশনের মতো, মহাকাশযানটিকে প্রাথমিকভাবে পৃথিবীর একটি নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। তারপর অনবোর্ড প্রপালশন ব্যবহার করে এল১-এর দিকে চালু করে দেওয়া হবে। লঞ্চ থেকে এল১ পর্যন্ত ভ্রমণের মোট সময় লাগতে প্রায় চার মাস।

মার্স অরবিটার মিশনের সাফল্য পেয়েছে ভারত। এবার শুক্র গ্রহের অন্বেষণের দিকে নজর দিয়েছে ইসরো। যদিও শুক্র গ্রহ মিশনের পরিকল্পনা করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং চিন। ২০২৪ সালকেই প্রাথমিক ভাবে শুক্র অভিযানের জন্য ভেবেছে ভারত । তবে তা পিছিয়ে ২০৩১ সাল হতে পারে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

ইসরোর পালকে আবারও নয়া সাফল্য

প্রকাশ: ০৮:৫৭:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩

চাঁদের পর এবার মহাকাশে মানুষ পাঠাতে তৈরি ইসরো। চাঁদের দিকে রওনা দিয়ে দিয়েছে চন্দ্রযান-৩। তা নিয়ে তো ইসরোর বিজ্ঞানীরা ব্যস্ত রয়েইছেন। নজর রাখা হচ্ছে প্রতিটি আপডেটে। এরই মধ্যে মহাকাশে নভোশ্চর পাঠাতে জোরকদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। এল বড়সড় আপডেট।

১৯ জুলাই নভোশ্চর বহনকারী “গগনযান”-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়। তামিলনাড়ুর মহেন্দ্রগিরির ইসরোর প্রোপাসান কমপ্লেক্সে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয় “গগনযান”। সফলভাবে সার্ভিস মডিউল প্রপালশন সিস্টেম পরীক্ষা করেছে ইসরো। আরোহীদের নিয়ে পৃথিবী থেকে ৪০০ কিলোমিটার পৌঁছবে এই “গগনযান”। মিশনটি হবে তিনদিনের। তারপর আবার তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনা হবে। সমুদ্রে অবতরণ করবে “গগনযান”।

নভোশ্চর বহনকারী “গগনযান”-এ থাকবে ৪৪০ নিউটনের একটি থ্রাস্ট সমন্বিত পাঁচটি তরল অ্যাপোজি মোটর (এলএএম) ইঞ্জিন, ১০০ নিউটন থ্রাস্ট সমন্বিত ১৬টি রিঅ্য়াকশন কন্ট্রোল সিস্টেম থ্রাস্টার্স (আরসিএস)। “গগনযান” মিশনের লক্ষ্য হল লো আর্থ অরবিটে নভোশ্চরদের পাঠানো। ভারতের তৈরি মহাকাশযান করেই এই লো আর্থ অরবিটে যাবেন মহাকাশচারীরা। ভারতের দ্বারাও যে এই মিশন সম্ভব সেটাই এবার দুনিয়াকে দেখানোর পালা।

“গগনযান” মিশন সফল হলে আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর যুক্ত হবে ভারতের নাম। রাশিয়া ও ফ্রান্সের স্পেস এজেন্সির সঙ্গেও ইসরো চুক্তি করেছে। এই দুই দেশের থেকে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ কিনছে ভারত। ৫০০-এর বেশি ইন্ডাস্ট্রি “গগনযান” মিশন লঞ্চের সঙ্গে যুক্ত থাকছে।

প্রসঙ্গত, শুধু “গগনযান”-ই নয় সূর্যকে অধ্যয়নের জন্য ইসরো আদিত্য এল-১ অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই বছর অগাস্টে নির্ধারিত হয়েছে এই মিশন। উল্লেখ্য ২০১৫ সালে চালু হওয়া অ্য়াস্ট্রোনাটের পর আদিত্য় এল-১ হবে ইসরোর দ্বিতীয় মহাকাশ-ভিত্তিক জ্যোতির্বিদ্যা মিশন। মহাকাশযানটিকে পৃথিবী থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে সূর্য থেকে পৃথিবীর সিস্টেমের ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট-১ (এল১)-এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। এল১ এর চারপাশে হ্যালো কক্ষপথে থাকার ফলে কোনও গ্রহণ ছাড়া সূর্যের নিরবচ্ছিন্ন পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে।

আদিত্য-এল ১ উৎক্ষেপণ করা হবে একটি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (পিএসএলভি) রকেট ব্যবহার করে। চন্দ্রযান মিশনের মতো, মহাকাশযানটিকে প্রাথমিকভাবে পৃথিবীর একটি নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করা হবে। তারপর অনবোর্ড প্রপালশন ব্যবহার করে এল১-এর দিকে চালু করে দেওয়া হবে। লঞ্চ থেকে এল১ পর্যন্ত ভ্রমণের মোট সময় লাগতে প্রায় চার মাস।

মার্স অরবিটার মিশনের সাফল্য পেয়েছে ভারত। এবার শুক্র গ্রহের অন্বেষণের দিকে নজর দিয়েছে ইসরো। যদিও শুক্র গ্রহ মিশনের পরিকল্পনা করে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র,ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সি এবং চিন। ২০২৪ সালকেই প্রাথমিক ভাবে শুক্র অভিযানের জন্য ভেবেছে ভারত । তবে তা পিছিয়ে ২০৩১ সাল হতে পারে। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক