০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদের ‘মায়াবৃত্তে’ ঢুকেছে চন্দ্রযান-৩: ইসরো

ঘর ছেড়েছে চন্দ্রযান-৩। পৃথিবীর চারিদিকে চক্কর কাটা শেষ করে চাঁদের ‘মায়াবৃত্তে’ ঢুকে পড়েছে চন্দ্রযান-৩। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে সেটিকে। ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের কথা রয়েছে।

চন্দ্রযান-৩-এর অবস্থান সম্পর্কে বড় আপডেট দিল ইসরো। টুইটারে ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটি চাঁদের দূরত্বের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পাড়ি দিয়েছে। লুনার অরবিট ইনজেকশন কৌশলটি প্রয়োগ করা হবে ৫ অগাস্ট সন্ধ্যা ৭টার সময়। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনে চন্দ্রযান ৩-এর প্রপালশন চালু করে তার গতি অত্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য ছিল যাতে পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণের বাধা কাটিয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছে ইসরো।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের এই মহাকাশযানের। এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে অবস্থিত ৩০০ কিলোমিটার দূরে। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে তাদের কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। তিনটি দেশই চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে মহাকাশযান অবতরণ করেছে।

চন্দ্রযান-৩ চাঁদের পৃষ্ঠের রেগোলিথ, চাঁদের পৃষ্ঠের কম্পন ও সান্দ্রতার তাপীয়-ভৌত অবস্থা নিয়ে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা, সূর্যালোকের সঙ্গে বিক্রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন চরম পরিস্থিতির সঙ্গে যাতে যন্ত্রপাতি মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য দফায় দফায় মহড়া চালিয়েছে ইসরো। রোভারে রয়েছে ‘আলফা কণা এক্স রে স্পেকট্রোমিটার’ এবং ‘লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি’। ল্যান্ডিং বা অবতরণ ক্ষেত্রের মৌলিক নানা বৈশিষ্ট্য বিষয়ক তথ্য সরাসরি পাঠিয়ে দেবে বেঙ্গালুরুতে, ইসরোর সদর দফতরে।

১৪ জুলাই ২০২৩, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। এটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেয় ইসরোর সবচেয়ে ভারী ও শক্তিশালী রকেট ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রি।’ যার আগের নাম ছিল ‘জিএসএলভি মার্ক থ্রি’।

২০১৯ সালে শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি চন্দ্রযান-২ মিশন। সফটওয়্যারের একটি অঙ্কের ভুলে ল্যান্ডার তার ক্ষেপণপথ বা ট্র্যাজেকটরি থেকে সরে গিয়েছিল। ‘সফট ল্যান্ডিং’ বা ধীরেসুস্থে গতি কমিয়ে নেমে আসার বদলে ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং’ হয়ে যায় ল্যান্ডারটির। ল্যান্ডারটি উচ্চ বেগে আছড়ে পড়ে চুরমার হয়ে যায়। খাতায় কলমে কক্ষপথে ‘অরবিটার’ থাকলেও মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ হয় ইসরোর। এবার আর সেই ভুল এবার আর করতে চাইছে না ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

ট্যাগ:

চাঁদের ‘মায়াবৃত্তে’ ঢুকেছে চন্দ্রযান-৩: ইসরো

প্রকাশ: ০৯:৪৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ অগাস্ট ২০২৩

ঘর ছেড়েছে চন্দ্রযান-৩। পৃথিবীর চারিদিকে চক্কর কাটা শেষ করে চাঁদের ‘মায়াবৃত্তে’ ঢুকে পড়েছে চন্দ্রযান-৩। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে চাঁদের কক্ষপথে ছুড়ে দেওয়া হয়েছে সেটিকে। ৫ অগাস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশের কথা রয়েছে।

চন্দ্রযান-৩-এর অবস্থান সম্পর্কে বড় আপডেট দিল ইসরো। টুইটারে ইসরো জানিয়েছে, মহাকাশযানটি চাঁদের দূরত্বের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পাড়ি দিয়েছে। লুনার অরবিট ইনজেকশন কৌশলটি প্রয়োগ করা হবে ৫ অগাস্ট সন্ধ্যা ৭টার সময়। ট্রান্সলুনার ইঞ্জেকশনে চন্দ্রযান ৩-এর প্রপালশন চালু করে তার গতি অত্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্য ছিল যাতে পৃথিবীর মাধ্যকর্ষণের বাধা কাটিয়ে চাঁদের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছে ইসরো।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে অবতরণ করবে চন্দ্রযান ৩-র ল্যান্ডার এবং রোভার। ৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমায় অবতরণের পরিকল্পনা রয়েছে ভারতের এই মহাকাশযানের। এলাকাটি চাঁদের দক্ষিণ মেরু থেকে অবস্থিত ৩০০ কিলোমিটার দূরে। এখনও পর্যন্ত যে তিনটি দেশ চাঁদে সফল ভাবে মহাকাশযান অবতরণ করাতে পেরেছে তাদের কেউই চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করতে পারেনি। তিনটি দেশই চাঁদের নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছে মহাকাশযান অবতরণ করেছে।

চন্দ্রযান-৩ চাঁদের পৃষ্ঠের রেগোলিথ, চাঁদের পৃষ্ঠের কম্পন ও সান্দ্রতার তাপীয়-ভৌত অবস্থা নিয়ে একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। চন্দ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা, সূর্যালোকের সঙ্গে বিক্রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন চরম পরিস্থিতির সঙ্গে যাতে যন্ত্রপাতি মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য দফায় দফায় মহড়া চালিয়েছে ইসরো। রোভারে রয়েছে ‘আলফা কণা এক্স রে স্পেকট্রোমিটার’ এবং ‘লেজার ইনডিউসড ব্রেকডাউন স্পেকট্রোস্কোপি’। ল্যান্ডিং বা অবতরণ ক্ষেত্রের মৌলিক নানা বৈশিষ্ট্য বিষয়ক তথ্য সরাসরি পাঠিয়ে দেবে বেঙ্গালুরুতে, ইসরোর সদর দফতরে।

১৪ জুলাই ২০২৩, অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-৩ এর সফল উৎক্ষেপণ হয়। এটিকে মহাকাশে পৌঁছে দেয় ইসরোর সবচেয়ে ভারী ও শক্তিশালী রকেট ‘লঞ্চ ভেহিকল মার্ক থ্রি।’ যার আগের নাম ছিল ‘জিএসএলভি মার্ক থ্রি’।

২০১৯ সালে শেষ পর্যন্ত সফল হয়নি চন্দ্রযান-২ মিশন। সফটওয়্যারের একটি অঙ্কের ভুলে ল্যান্ডার তার ক্ষেপণপথ বা ট্র্যাজেকটরি থেকে সরে গিয়েছিল। ‘সফট ল্যান্ডিং’ বা ধীরেসুস্থে গতি কমিয়ে নেমে আসার বদলে ‘ক্র্যাশ ল্যান্ডিং’ হয়ে যায় ল্যান্ডারটির। ল্যান্ডারটি উচ্চ বেগে আছড়ে পড়ে চুরমার হয়ে যায়। খাতায় কলমে কক্ষপথে ‘অরবিটার’ থাকলেও মিশনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যর্থ হয় ইসরোর। এবার আর সেই ভুল এবার আর করতে চাইছে না ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক