শুক্রবার ● ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ঘোষণা
প্রিয় পাঠকমন্ডলী, নতুন রূপে, নব উদ্যমে- দেশ ও দশের তথ্যতৃষ্ণা মেটাতে জাগ্রত, নির্ভীক ও সচেতন দৈনিক ইত্তেহাদ-এর নির্মাণপর্ব চলছে, পাশেই থাকুন...
আর্থিক বৃদ্ধিতেও ঐতিহ্য গুরুত্বপূর্ণ: মোদী

আর্থিক বৃদ্ধিতেও ঐতিহ্য গুরুত্বপূর্ণ: মোদী

জি-২০ অ্যাকশন প্ল্যান নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি চারটি সি-এর উপর জোর দিয়েছেন। কালচার, ক্রিয়েটিভিটি, কমার্স আর কোলাবরেশন। অর্থাৎ সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা, বাণিজ্য ও সমণ্বয়। আগামী বিশ্ব যাতে আরও সুন্দর  হয়ে ওঠে সেব্যাপারে জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শনিবার ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মোদী  উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বক্তব্য রাখেন।

তিনি সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সংস্কৃতি মন্ত্রীদের নানাভাবে উৎসাহ দেন। সংস্কৃতি সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। এই মন্ত্রকে সামনে রেখে মোদী সকলকে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে উৎসাহ দেন। মূলত ভারতের সেই চিরাচরিত বসুধৈব কুটুম্বকম ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন মোদী। তাঁর কথায়, একটাই পৃথিবী, একটাই পরিবার ও একটাই ভবিষ্যৎ।

মোদী বলেন, চিরটি ‘সি’ -এর যে গুরুত্ব রয়েছে সেটা আপনাদের এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। যেমন কালচার, ক্রিয়েটিভিটি, কমার্স আর কোলাবরেশন। এর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ আরও উন্নত হবে।

তিনি প্রাচীন শহর কাশীর প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তিনি জানিয়েছেন, কাশীকে জ্ঞান, কর্তব্য ও সত্যের ভাণ্ডার বলে উল্লেখ করা হত। এটা ভারতের সাংস্কৃতিক ও আধ্যাত্মিকতার রাজধানী ছিল। যাঁরা গঙ্গা আরতি দেখতে আসেন তাঁদের সারনাথে যাওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ দেন মোদী। সেই শহর বৌদ্ধদের কাছে তীর্থভূমি। মোদী বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য সংস্কৃতির গুরুত্ব অপরিসীম। গোটা মানব সভ্যতার নিরিখে আপনাদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি জানিয়েছেন, ভারতের এই যে সংস্কৃতি বিভিন্নতা এটা আমাদের কাছে গৌরবের। আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লিতে যে প্রাইম মিনিস্টার মিউজিয়াম রয়েছে সেখানে ভারতের গণতন্ত্রের যে ভাবধারা সেটাও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন যুগে যুগীন ভারত নামে জাতীয় সংগ্রহশালা তৈরির কাজও চলছে। এটা তৈরি হলে বোঝা যাবে ৫০০০ বছর ধরে ভারতে কী ধরনের প্রাচীন ঐতিহ্য ছিল।

সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন সকলেরই অধিকার রয়েছে তাঁদের সাংস্কৃতিক ভাবধারাকে বাঁচিয়ে রাখার। তিনি বলেন, পাথরে যা খোদাই করা রয়েছে সেটাই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এমনটা নয়, এখানকার ঐতিহ্য, ভাবধারা, উৎসব এক প্রজন্ম থেকে অপর প্রজন্ম পর্যন্ত যা অতিবাহিত হয়েছে সেটাও সংস্কৃতির উত্তরাধিকার। খবর: ইন্ডিয়া নিউজ নেটওয়ার্ক

শেয়ার করুন




©সর্বস্বত্ব স্বত্ত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০২১-২০২২
Designed and developed by Smk Ishtiak