ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি পোশাক কারখানায় ফের ২০ শ্রমিক অসুস্থ ও শিউলী আক্তার (৩৬) নামে এক নারী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ওই কারখানাটিতে মোট ৬০ জন অসুস্থ ও ৩ জনের মৃত্যু হলো। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শিউলী আক্তার নেত্রকোনা জেলার মদন উপজেলার আলমুশরা রাজতলা গ্রামের বাসিন্দা। ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হাসানুল হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে এসকিউ গ্রুপের সেলসিয়াস ইউনিটের নিটিং সেকশনের অপারেটর শিউলী আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। খোঁজ পেয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ অসুস্থ শিউলী আক্তারকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। আহত অন্য রোগীদের শ্রীপুরের মাওনা আল হেরা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ওই কারখানায় গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে ৪০ শ্রমিক আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মাঝে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রমিক অসুস্থ ও মৃত্যুর ঘটনায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, শিল্প পুলিশ ও সিভিল সার্জনের পক্ষে তিনটি তদন্ত কমিটি ঘটন করা হয়। কমিটিগুলো তদন্ত কাজ শুরু করেছে।
সিভিল সার্জনের পক্ষে তদন্ত কমিটির প্রধান ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসানুল হোসাইন অসুস্থদের বিষয়ে তদন্ত করে গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্তের কথা উল্লেখ করে সিভিল সার্জনের কাছে প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন।
ফের শ্রমিক অসুস্থ ও মারা যাওয়ার বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য মোবাইলে বারবার চেষ্টা করলে রিসিভ না করায় কারখানার কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য দেওয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ হাসানুল হোসাইন জানান, মঙ্গলবার ওই কারখানায় অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ার বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। পরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে জানাতে পেরেছেন, মৃত নারী শ্রমিক থাইরয়েড, হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। ওই কারখানায় শ্রমিক অসুস্থতার বিষয়ে সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে তিনি সিভিল সার্জন ও শিল্প পুলিশের এসপিকে ওই নারীর লাশ ময়নাতদন্ত করার জন্য সুপারিশ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এরশাদুল আহম্মেদ জানান, এসকিউ কারখানায় কর্তৃপক্ষ আমাকে জানিয়েছেন ৭ শ্রমিক অসুস্থ ও একজন মারা গেছেন। খবর পেয়ে আমি ওই কারখানাটি পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম।