১০:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেন্দুয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় কৃষকের জমির চাষাবাদ বন্ধ

কেন্দুয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় বাধার কারণে এক কৃষকের এক একর ২৩ শতাংশ জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। ভুক্তভোগী কৃষক শফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় চারজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তারা হলেন- আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার। অভিযোগে জানা গেছে, চাঁদা না দেওয়ায় একই গ্রামের বাসিন্দা আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার গং কৃষক শফিকুলের জমিতে বোরো ফসলের চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো ফয়সালা না হওয়ায় কৃষক শফিকুল তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

থানায় অভিযোগের পর থেকেই কৃষক শফিকুলের সঙ্গে প্রতিপক্ষের লোকজন চরম শত্র“তা শুরু করেন। এরই মধ্যে ১৩ জানুয়ারি সকালে কৃষক শফিকুল তার বসতবাড়ি সংলগ্ন জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে চাঁদা দাবিকারী প্রতিপক্ষের আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার বাধা দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, চাষাবাদ করতে হলে তাদেরকে এ জমি থেকে ১৩ শতাংশ জমি লিখে দিতে হবে অন্যথায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ সময় তাদের এসব অনৈতিক দাবির প্রতিবাদ করলে তারা কৃষক শফিকুল ইসলামকে মারধর করতে উদ্যত হন। ফলে কৃষক শফিকুলের এক একর ২৩ শতাংশ জমি পতিত রয়েছে। থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ট্যাগ:

কেন্দুয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় কৃষকের জমির চাষাবাদ বন্ধ

প্রকাশ: ০৭:০১:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

কেন্দুয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় বাধার কারণে এক কৃষকের এক একর ২৩ শতাংশ জমিতে বোরো চাষাবাদ বন্ধ রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার চরখিদিরপুর গ্রামে। ভুক্তভোগী কৃষক শফিকুল ইসলাম এ ঘটনায় চারজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তারা হলেন- আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার। অভিযোগে জানা গেছে, চাঁদা না দেওয়ায় একই গ্রামের বাসিন্দা আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার গং কৃষক শফিকুলের জমিতে বোরো ফসলের চাষাবাদ করতে নিষেধ করেন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ বৈঠক হলেও কোনো ফয়সালা না হওয়ায় কৃষক শফিকুল তাদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

থানায় অভিযোগের পর থেকেই কৃষক শফিকুলের সঙ্গে প্রতিপক্ষের লোকজন চরম শত্র“তা শুরু করেন। এরই মধ্যে ১৩ জানুয়ারি সকালে কৃষক শফিকুল তার বসতবাড়ি সংলগ্ন জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে চাঁদা দাবিকারী প্রতিপক্ষের আলী উসমান, আবু সায়েম সুজন, শাহজাহান ও আব্দুস সাত্তার বাধা দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, চাষাবাদ করতে হলে তাদেরকে এ জমি থেকে ১৩ শতাংশ জমি লিখে দিতে হবে অন্যথায় তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে। এ সময় তাদের এসব অনৈতিক দাবির প্রতিবাদ করলে তারা কৃষক শফিকুল ইসলামকে মারধর করতে উদ্যত হন। ফলে কৃষক শফিকুলের এক একর ২৩ শতাংশ জমি পতিত রয়েছে। থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।