সেই হিসাবে গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রবাসী আয়ে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। কারণ, প্রতিবছর যে পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়ে থাকে, সে অনুযায়ী প্রবাসী আয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বিদায়ী বছরের ডিসেম্বর মাসে গত ছয় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে। এ মাসে প্রবাসী আয় আসে ১৯৯ কোটি ডলার। এর আগে গত জুনে ২১৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।
চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম ১৯ দিনে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২২ কোটি ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪১ লাখ মার্কিন ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে।
দুই বছর ধরে চলা বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের কারণে দেশে মার্কিন ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম ৮৬ থেকে বেড়ে ১১০ টাকায় উঠেছে। তবে ব্যাংকগুলো আমদানি দায় মেটাতে ডলারের দাম ১২০ টাকার বেশি নিচ্ছে। কারণ, ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স কিনছে ঘোষণার চেয়ে বেশি দামে। এরপরও বিদায়ী বছরে প্রবাসী আয়ে বড় প্রবৃদ্ধি হয়নি। যদিও গত বছর রেকর্ড পরিমাণ জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে।