হঠাৎ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে পদত্যাগ করেছেন সংগঠনটির সহসাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক। সাইমনের পদত্যাগের এমন সিদ্ধান্তে সন্দেহ করছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চিত্রনায়িকা নিপুণ। তিনি বলেন, সাইমনের অভিযোগ সঠিক নয়। ‘হুব্বা’ মুক্তিতে আমাদের বাধা দেওয়ার কিছু নেই। ছবিটি এসেছে সাফটা চুক্তির মাধ্যমে, আমদানি নীতিতে নয়। আর সাফটা চুক্তি হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও প্রযোজক অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে। তার পরও যখন শুনেছি দেশি দুই ছবির সঙ্গে ‘হুব্বা’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে, আমরা ১৯ সংগঠন জরুরি বৈঠক ডেকেছিলাম। কাঞ্চন ভাই ‘হুব্বা’ মুক্তিতে বাধা দিয়েছিলেন। সেটা মানেননি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার আবদুল আজিজ। অনেকটা পেশি শক্তির জোরে ছবিটি মুক্তি দিয়েছেন। এটি নিয়ে প্রযোজক সমিতি কিন্তু ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সমিতির সাবেক সভাপতি ও ১৯ সংগঠনের আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু এরই মধ্যে আবদুল আজিজের প্রযোজক সমিতির সদস্য পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন সর্বসম্মতিক্রমে। তা হলে সাইমন হঠাৎ পদত্যাগ করতে চাইছে কেন? এটা অন্য কারও ইশারায় নয়তো!
পদত্যাগের কারণ হিসেবে শিল্পী সমিতির সভাপতিকে দেওয়া একটি চিঠিতে বলেছেন, আমি সাইমন সাদিক। আপনার নেতৃত্বাধীন শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সহসাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বিগত দিনে আমি আমার দায়িত্ব পালনে সর্বোচ্চ নিবেদিত ছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি সমিতির নেওয়া কয়েকটি সিদ্ধান্ত ও নীতির সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না। বিশেষ করে সাফটা চুক্তিতে বিদেশি ভাষার সিনেমা আমদানি করে দেশীয় চলচ্চিত্র শিল্পকে হুমকিতে ফেলে বিদেশি সিনেমা মুক্তির প্রেক্ষিতে বিতর্কিত পরিস্থিতিতে সমিতির নিষ্ক্রিয়তা আমার কাছে সমর্থনযোগ্য নয়। আমার উল্লিখিত শেষ বাজি সিনেমাটি গতকাল মুক্তি পেয়েছে। একই দিনে নিয়মনীতি না মেনে বিদেশি আর একটি সিনেমা শিল্পী এবং আমার ক্যারিয়ার যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। কিন্তু অত্যন্ত হতাশার বিষয় এ সম্পর্কে আমাদের সমিতি নীরব রয়েছে।
এসব বিষয়ে মতপার্থক্য থাকায় সমিতির কার্যকরী কমিটিতে থাকা আমি অযৌক্তিক ও অনুচিত মনে করছি। তাই সহসাধারণ সম্পাদক থেকে অব্যাহতি চাইছি। তবে আমি অতীতের মতোই দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশের পক্ষে কাজ করে যাব।