স্মৃতিচারণা করে বিদায়ী প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন, তিনি যখন বিদ্যালয়ের হাল ধরেছিলেন তখন ভাঙা ছাপরা ছিল। সবার সহযোগিতায় বিদ্যালয়টির অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বেড়েছে শিক্ষার মানও। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধিসহ ভালো ফলাফল করতে পালাক্রমে এসএসসি ও জেএসসি শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রাতে নজরদারি করতেন তিনি। অনেক শ্রমের বিনিময়ে চাপিলা উচ্চবিদ্যালয় এখন আলোকিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
উত্তরসূরিদের উদ্দেশে রেজাউল ইসলাম বলেন, একজন প্রধান শিক্ষককে সবার আগে বিদ্যালয়ে আসতে হবে, সবার পর বিদ্যালয় ত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি সবার কথা শুনতে হবে, আবার কারোর কথাই শোনা যাবে না, তবেই প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চলবে। গুণগতমানের শিক্ষা নিশ্চিত হবে। ভবিষ্যতে যিনি তাঁর আসনে বসবেন, তাঁকেও এমন দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জালাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষক রেজাউল ইসলাম ছিলেন একজন আদর্শ শিক্ষক, বিনয়ী ও সৎ মানুষ। তাঁর অনেক ছাত্র এখন বিভিন্ন দপ্তরে উচ্চ পদে চাকরি করছেন। তাঁর আদর্শের শিক্ষায় এখন তিনি সফল ব্যবসায়ী। প্রিয় শিক্ষক অবসরে যাওয়ায় তাঁর প্রাইভেট কার সুসজ্জিত করে সকালে তাঁর বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষে আবার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। এ সময় সড়কের দুই পাশে শিক্ষার্থীরা দাঁড়িয়ে প্রিয় শিক্ষককে বিদায় জানান।