বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার রাত ৮টা ২৫ মিনিটে তিনি বাসায় প্রবেশ করেন এবং সাড়ে ৯টার দিকে বেরিয়ে আসেন।
সাড়ে তিন মাস বন্দি থাকার পর গত বৃহস্পতিবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপি মহাসচিব। একই দিন কারাগার থেকে বের হয়ে আসে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এই সাক্ষাতে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সে বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে কিছু বলেননি ফখরুল।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে স্থগিতের পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ফিরোজায় ফেরা খালেদা জিয়া অবশ্য রাজনীতি নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। দলের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তার ছেলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় এবং আগের প্রায় পাঁচটি মাস খালেদা জিয়ার কেটেছে এভারকেয়ার হাসপাতালে। তাকে দেশের বাইরে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে জোর দাবিও জানিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু অতীতের মতোই সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করে সরকার। এরপর বিদেশ থেকে চিকিৎসক এনে তার চিকিৎসা করানো হয়।
ভোটের চার দিনের মাথায় ১১ জানুয়ারি খালেদা জিয়া ফিরোজায় ফেরেন। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য আরেক দফা হাসপাতালে নেওয়া হলেও ভর্তি করার দরকার পড়েনি।
অন্যদিকে মির্জা ফখরুল গ্রেপ্তার হন গত ২৯ অক্টোবর। তার আগের দিন ঢাকায় বিএনপির ‘মহাসমাবেশ’ স্থল নয়া পল্টনের অদূরে কাকরাইল ও বিজয়নগরে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হলে ফখরুল সমাবেশ না চালিয়ে পরের দিন হরতালের ডাক দেন।
কর্মসূচি চলার মধ্যেই গুলশানের বাসভবন থেকে তাকে নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর বিএনপি টানা অবরোধ ও হরতালের মতো কর্মসূচি দিতে থাকে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনও বর্জন করে তারা।
সেই সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় এক ডজন মামলার আসামি হন ফখরুল। সবগুলোতে জামিন পাওয়ার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পান তিনি।
মুক্তির পর বিএনপি মহাসচিব হাসপাতালে গিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। চিকিৎসকদের পরামর্শে গুলশানের বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পরে বিএনপি মহাসচিব দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যোগ দেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে এই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সবাই যোগ দেন ভার্চুয়ালি।