০২:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। সেই সঙ্গে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের অবিলম্বে ও শর্তহীন মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

প্রতিবেদন মতে, সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক ভোটাভুটিতে প্রথমবারের মতো এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল। বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

ভোটদানে বিরত থাকার কারণ হিসেবে এক বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, আমরা প্রস্তাবের সবকিছুর সাথে একমত নই। এতদিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হতে বিলম্বের জন্য হামাসকে দায়ী করেন তিনি।

টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, হামাসকে নিন্দা জানানোর বিষয়টি যোগ করার জন্য আমাদের অনুরোধ ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি পাবে।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ গাজা-সংক্রান্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

এক এক্স বার্তায় গুতেরেস আরও বলেন, এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। ব্যর্থতা হবে ক্ষমার অযোগ্য।

ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আমর বেনজামা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রক্তস্নান অনেক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। বেশি দেরি হওয়ার আগেই এই রক্তপাত বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এরই মধ্যে ছয় মাস পেরিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা অগ্রাহ্য করে আসছে ইসরায়েল। দেশটির যুদ্ধবাজ নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

এদিকে নিরবচ্ছিন্ন সামরিক আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের ফলে গাজার পরিস্থিতি নাজুক রূপ নিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।

ট্যাগ:

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস জাতিসংঘে

প্রকাশ: ১০:৩৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মার্চ ২০২৪

গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। সেই সঙ্গে হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলি জিম্মিদের অবিলম্বে ও শর্তহীন মুক্তির আহ্বান জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

প্রতিবেদন মতে, সোমবার (২৫ মার্চ) জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এক ভোটাভুটিতে প্রথমবারের মতো এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ভোটদানে বিরত ছিল। বাকি ১৪টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে।

ভোটদানে বিরত থাকার কারণ হিসেবে এক বক্তব্যে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, আমরা প্রস্তাবের সবকিছুর সাথে একমত নই। এতদিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পাস হতে বিলম্বের জন্য হামাসকে দায়ী করেন তিনি।

টমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, হামাসকে নিন্দা জানানোর বিষয়টি যোগ করার জন্য আমাদের অনুরোধ ছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হলে অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা বৃদ্ধি পাবে।

প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, নিরাপত্তা পরিষদ গাজা-সংক্রান্ত দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এর মাধ্যমে তারা অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছে।

এক এক্স বার্তায় গুতেরেস আরও বলেন, এই প্রস্তাব অবশ্যই বাস্তবায়ন হতে হবে। ব্যর্থতা হবে ক্ষমার অযোগ্য।

ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আমর বেনজামা বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই রক্তস্নান অনেক দিন ধরে অব্যাহত রয়েছে। বেশি দেরি হওয়ার আগেই এই রক্তপাত বন্ধ করা আমাদের দায়িত্ব।

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন এরই মধ্যে ছয় মাস পেরিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি নিরীহ ও নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী। যার বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বারবার হত্যাযজ্ঞ বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানালেও তা অগ্রাহ্য করে আসছে ইসরায়েল। দেশটির যুদ্ধবাজ নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।

এদিকে নিরবচ্ছিন্ন সামরিক আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের ফলে গাজার পরিস্থিতি নাজুক রূপ নিয়েছে। সীমান্ত দিয়ে ত্রাণ সহায়তা ঢুকতে না দেওয়ায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ ফিলিস্তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে।