০৮:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলা

লেবানন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত কয়েক ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে দফায় দফায় এ হামলা চালানো হয়।

মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে ইহুদিবাদী সেনাদের কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের জিবকিন এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। এছাড়া খাইয়াম এবং হুলা এলাকার বেশ কিছু স্থাপনা এবং ওডেইসাহ এলাকায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে লেবাননে হামলা চালানোর অনুমোদন ও বৈধতা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

যদিও দখলদারদের এ ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদেরই দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। এছাড়া ইসরায়েলকে বরাবরের মতো সতর্ক করেছে তুরস্কও।

দেশ তিনটি ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধের ক্ষেত্র আরও বাড়লে ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

লেবাননে অবস্থিতি মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের লেবাননের দক্ষিণ, সিরিয়ার সীমান্ত ও শরণার্থী ক্যাম্পের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে, তুরস্ক আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে লেবাননের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটাকে ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হিসেবে দেখছি। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা

ট্যাগ:

হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েলের হামলা

প্রকাশ: ১২:০৮:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪

লেবানন প্রতিরোধ গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। গত কয়েক ঘণ্টায় লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হিজবুল্লাহর বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে দফায় দফায় এ হামলা চালানো হয়।

মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট এক্স-এ পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এ দাবি করেছে ইহুদিবাদী সেনাদের কর্তৃপক্ষ।

ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের জিবকিন এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে তারা। এছাড়া খাইয়াম এবং হুলা এলাকার বেশ কিছু স্থাপনা এবং ওডেইসাহ এলাকায় একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। সম্প্রতি হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করে লেবাননে হামলা চালানোর অনুমোদন ও বৈধতা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

যদিও দখলদারদের এ ঘোষণার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদেরই দুই মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। এছাড়া ইসরায়েলকে বরাবরের মতো সতর্ক করেছে তুরস্কও।

দেশ তিনটি ইসরায়েলের পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বার্লিন ও ওয়াশিংটন জানিয়েছে, যুদ্ধের ক্ষেত্র আরও বাড়লে ফলাফল কী হতে পারে, তা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। নিজ দেশের নাগরিকদের লেবানন ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

লেবাননে অবস্থিতি মার্কিন দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের লেবাননের দক্ষিণ, সিরিয়ার সীমান্ত ও শরণার্থী ক্যাম্পের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

এদিকে, তুরস্ক আঞ্চলিক শক্তিগুলোকে লেবাননের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মার্টিন গ্রিফিথস বলেছেন, যুদ্ধের পরিধি ও তীব্রতা বাড়লে তার ফল মারাত্মক হবে। আমি এটাকে ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হিসেবে দেখছি। তথ্যসূত্র: আল জাজিরা